মাল নদীতে বিসর্জনে গিয়ে হড়পা বানে মৃত্যু হয়েছে ৮জনের। দশমীর রাতের ঘটনা। এরপর মাঝে কেটে গিয়েছে একটা দিন। তবুও একটি প্রশ্ন এখনও ঘুরছে ডুয়ার্সে। বাসিন্দাদের দাবি, এবার মহালয়ার আগেই নদীতে বোল্ডার, পাথর দিয়ে অস্থায়ী বাঁধ দেওয়া হয়েছিল। মূলত মাল শহরের দিক থেকে নদীকে কলেজের দিকে নিয়ে আসার চেষ্টা। এনিয়ে মাল পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলছেন বিরোধীরা। দাবি করা হচ্ছে মহালয়ার তর্পণের সুবিধার জন্য় এভাবে নদীর গতিপথ ঘোরানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু এটা কি আদৌ বিজ্ঞানসম্মত?
তবে বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, পাহাড়ে বৃষ্টি হচ্ছিল। সেক্ষেত্রে আগাম সতর্ক হওয়া দরকার ছিল। সিভিল ডিফেন্সও পুরোপুরি তৈরি ছিল না। এরপর ঠিক প্রতিমা ভাসানের সময়ই এল হড়পা বান। ভাসিয়ে নিয়ে গেল অনেককেই। তবে বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, অস্থায়ী বাঁধের জন্যই যে সব ওলটপালট হয়ে গেল এমনটা পুরোপুরি বলা যায় না। তবে অবৈজ্ঞানিকভাবে এভাবে পাহাড়ি নদীর গতিপথ বদল না করাই ভালো। এতে দীর্ঘকালীন ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে এভাবে নদীর মাঝে বাঁধ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ কি নেওয়া হয়েছিল?
এদিকে বিজেপির একটি প্রতিনিধিদল শুক্রবারই দুর্ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন। মৃতের পরিজনদের সঙ্গেও তাঁরা কথা বলতে পারেন। প্রশাসনির গাফিলতির কথা উল্লেখ করেছেন তাঁরা।