তিনবারের তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুব্রত সাহার মৃত্যুতে সোমবার সাগরদিঘিতে উপনির্বাচন হচ্ছে। উপনির্বাচন হলেও, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসক-বিরোধী উভয় পক্ষের কাছেই এই নিবার্চন গুরুত্বপূর্ণ। যদিও উপনির্বাচনের ফল দিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত করা যায় না। তবু এই নির্বাচনে জয় পঞ্চায়েত ভোটের আগে মনোবল বাড়াতে অনেকটাই সাহায্য করবে।
এই উপর্নিবাচনে লড়াই মূলত ত্রিমুখী। তৃণমূল, কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে। বিরোধীরা বারবার অভিযোগ করেছে শাসকদল সুষ্ঠভাবে ভোট করতে দেবে না, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ভোটকে শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন করাটা নির্বাচনে কমিশনের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ।
মোট ২৪৬টি বুথে ভোট হবে সাগরদিঘিতে। এর মধ্যে ৫০টি বুথকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভোটের নজরদারিতে থাকছে ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ১০০ শতাংশ বুথে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ভোট চলাকালীন থাকছে ওয়েবকাস্টিং-এর ব্যবস্থা। এ ছাড়া যে কোন রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মোকাবিলায় থাকছে কুইক রেসপন্স টিম। ওয়েবকাস্টিং-এ নজর রাখা হবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন থেকেও।
তৃণমূলের শক্তঘাটি বলে পরিচিত সাগরদিঘিতে টানা তিনবারের বিধায়ক ছিলেন সুব্রত সাহা। ২০১১ সালে মুর্শিদাবাদে তিনিই হয়েছিলেন প্রথম তৃণমূল বিধায়ক। তারপর দু'বার বিধানসভা নির্বাচনে জেতেন প্রয়াত সুব্রত সাহা। ২০২১-এর নির্বাচনে তিনি বিজেপি প্রার্থীকে প্রায় ৫০হাজার ভোটে হারিয়েছিলেন। তবে এবার তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে শক্ত লড়াইয়ের মুখে ফেলতে পারেন কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস।
ফ্যাক্টার কি পরিযায়ী শ্রমিকরা
সাগরদিঘি বিধানসভা ৬৫ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটার। অন্য দিকে হিন্দু ভোটারের সংখ্যা ৩২ শতাংশ। শাসকদের চিন্তার কারণ হতে পারে পরিযায়ী শ্রমিক। পরিসংখ্যান বলছে বিধানসভা এলাকায় মোট পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ৩০ হাজার। এদের মধ্যে ৮০ শতাংশ সংখ্যালঘু। তাঁদের বেশিরভাই ইদ বা বাড়ির কোনও অনুষ্ঠান থাকলে ঘরে ফেরেন। শাসকদলের কাছে এই তথ্য যথেষ্ট চিন্তার কারণ।