ইস্য়ুটা তুলেছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বারলা। উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবিও তুলেছিলেন তিনি। এরপর এনিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। প্রাথমিকভাবে সাংসদের দাবির সঙ্গে একমত না হলেও সম্প্রতি জলপাইগুড়িতে গিয়ে কার্যত কার্যত জন বারলার পাশে দাঁড়িয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিকে এবার সেই আলাদা রাজ্যের দাবির বিষয়টি কার্যত কৌশলে উত্তরবঙ্গের মানুষের উপর চাপিয়ে দিলেন কোচবিহারে বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক।
মঙ্গলবার মালদায় শহিদ সম্মান যাত্রার অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নিশীথ প্রামাণিক বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের মানুষ নানা বঞ্চনায় জর্জরিত। তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা আলাদা রাজ্য চান কিনা। এটা বৈধ না অবৈধ এরকম কোনও ব্যাপার এই দাবির পেছনে নেই। আমি কী ভাবছি সেটাও কোনও ব্যাপার নয়। অনেক নেতা আছে যাঁদের ব্যক্তিগত মতামত থাকতে পারে।’ এরপরই কার্যত উত্তরবঙ্গের মানুষের উপরই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার চাপিয়ে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
নিশীথ প্রামাণিক বলেন, ‘আমি আমার মতামত পরে জানাব। আমি উত্তরবঙ্গের মানুষের সঙ্গে রয়েছি। তাঁরা কী চান সেটা তাঁদেরই সিদ্ধান্ত নিতে দিন।’ এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি জানিয়েছেন বাংলাকে ভাগ করার জন্য চক্রান্ত করছে বিজেপি। রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা জানিয়েছিলেন, আমি কাউকে বাংলা ভাগ করতে দেব না। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জন্য একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের কথাও তিনি ঘোষণা করেছেন।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যবসু বলেন,' উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের জন্য রাজ্যবাজেটে ৭৭৬ কোটি টাকা এবার বরাদ্দ করা হয়েছে। বিজেপি নেতারা স্ববিরোধী কথাবার্তা বলছেন। ১৬ই জুন বারলা দাবিটা তুলেছিলেন। ২২জুন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বললেন এটা বারলার ব্যক্তিগত মতামত। আর দল একে অনুমোদন করে না। আর ২১শে অগস্ট তিনি বলছেন দল বারলার দাবি ভেবে দেখবে।'