পঞ্চায়েতের টেন্ডার ফর্ম বিলিকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ। পঞ্চায়েতের একেবারে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুই গোষ্ঠীর লোকজন। পঞ্চায়েতের আসবাবপত্রেও চলে ভাঙচুর। গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। মালদার হরিশচন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। পুলিশ গিয়ে কোনওরকমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি এই ধরণের ঘটনাকে দল অনুমোদন করে না।
হাসানুর জামান নামে এক তৃণমূল কর্মীর দাবি,প্রত্যেকবার আমরা টেন্ডারের আবেদন করি। এবার বোর্ডেও নোটিশ টাঙানো হয়নি। বলছে নোটিশ ছিঁড়ে দিয়েছে। আমরা পঞ্চায়েতে দেড় ঘণ্টা ধরে বসে আছি। আচমকা প্রধানের লোকজন এসে আমাদের উপর হামলা শুরু করল। চেয়ার তুলে মারল। আমরা ভয়ে লুকিয়ে ছিলাম। একজন সিভিক পুলিশও সাদা পোশাকে এসে আমাদের উপর হামলা চালাল। এখানে ঝামেলা পাকিয়ে পরে আবার ইউনিফর্ম পরে চলে এল।
এদিকে দলেরই অপর গোষ্ঠীর দাবি, ওরা পঞ্চায়েতে এসে ঝামেলা করল। আমরা এর ন্যায্য বিচার চাই। তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, এটা হওয়া কাম্য নয়। পার্টি এটা অনুমোদন করে না। বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মণ্ডল বলেন, এটা ওদের রোজকার নাটক। যা খুশি করছে ওরা। টেন্ডার কে পাবে তা নিয়ে বর্তমান প্রধানের অনুগামীদের সঙ্গে প্রাক্তন প্রধানের অনুগামীদের গন্ডগোল। এই সংঘাত তৃণমূলের সংস্কৃতি।