করোনাভাইরাস টিকার অপ্রতুলতা। তার জেরে আজ (শনিবার) থেকে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হচ্ছে না ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে টিকাকরণ। সেই পরিস্থিতিতে কো-উইন পোর্টালে নথিভুক্ত করা হলেও টিকা নেওয়ার জন্য কোনও সময় বুক করা যাচ্ছে না। তবে স্বাস্থ্য দফতরের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, টিকার প্রাপ্যতার উপর নির্ভর করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে টিকাকরণ চালু থাকবে।
শুক্রবার নবান্নের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাজ্যে করোনার টিকা এলে তবেই ১৮ থেকে ৪৪ বছর পর্যন্ত মানুষের জন্য টিকাকরণ শুরু হবে। তা নিয়ে নির্দেশিকাও প্রকাশ করা হবে। তবে টিকার প্রাপ্যতার উপর নির্ভর করে স্বাস্থ্যকর্মী, প্রথমসারির করোনা যোদ্ধা এবং ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে মানুষদের টিকাকরণ যেমন চলছে, সেরকমভাবেই চলবে। সেক্ষেত্রে যাঁরা দ্বিতীয় ডোজ নেবেন, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের টিকার আকাল দেখা দিয়েছে। টিকা চাইলেও তা আসছে না। তার জেরে ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে টিকাকরণের ক্ষেত্রেই সমস্যা হচ্ছে। সেই পরিস্থিতিতে এখনই ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে টিকাকরণ শুরু করা অসম্ভব। সেজন্য আপাতত কো-উইন পোর্টালে নথিভুক্ত করা হলেও টিকা নেওয়ার জন্য কোনও সময় বুক করতে পারছেন না ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে মানুষ। ইতিমধ্যে গত বৃহস্পতিবার সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালের জন্য কমপক্ষে তিন কোটি করোনা টিকার ডোজ পাঠানোর জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, টিকার অপ্রতুলতার কারণে শনিবার থেকে একইরকমভাবে মহারাষ্ট্র, দিল্লিতেও ১৮-৪৪ বছরের মানুষের টিকাকরণ শুরু হচ্ছে না। তবে তিনটি বেসরকারি হাসপাতাল - অ্যাপোলো, ম্যাক্স এবং ফর্টিসের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার থেকেই টিকাকরণ শুরু হবে। ম্যাক্স আপাতত দিল্লি ও দিল্লি লাগোয়া অঞ্চলে টিকা দেবে। ফর্টিস প্রাথমিকভাবে শুধুমাত্র উত্তর ভারতে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে টিকা দেবে। অ্যাপোলোর তরফে জানানো হয়েছে, দেশের ২৪ টি শহরের ৭০ টি হাসপাতালে শনিবার থেকেই প্রাপ্তবয়স্করা টিকা পাবেন। সেই তালিকায় কলকাতায় আছে কিনা, তা জানানো হয়নি। তবে কলকাতায় অ্যাপোলো হাসপাতালের তরফে টিকাকরণের বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।