পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে দিয়ে ইস্তফা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন দলনেত্রী। মমতার সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ২৪ ঘণ্টা পরেও পুরপ্রধানের চেয়ারে বসে রইলেন পানিহাটির পুরপ্রধান মলয় রায়। দলনেত্রীর নির্দেশকে পালটা চ্যালেঞ্জ করে বললেন, পালটা খেলা হবে। আরও বড় খেলা হবে।
আরও পড়ুন - মুসলিম তোষণ করতে হাইকোর্টেরও পরোয়া করেন না মমতা: শংকর ঘোষ
পড়তে থাকুন - শুভেন্দু কি এবার ভবানীপুরে দাঁড়াবেন? কী বলছেন সুকান্ত! 'মমতাকে হারাব'
মঙ্গলবার দুপুরে বিধানসভা থেকে ফোন করে মলয় রায়কে পানিহাটির পুরপ্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিতে বলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। জানা যায়, সোদপুরের অমরাবতীর মাঠের একাংশ প্রোমোটারদের বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় তাঁর ওপরে ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওদিকে কী কারণে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে তা না জানালে পদত্যাগ তিনি করবেন না বলে স্পষ্ট করে দেন মলয়বাবু। সঙ্গে দলনেত্রীকে তাঁর ব্যাপারে ভুল বোঝানো হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। এরই মধ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে তাঁর বাড়ি গিয়ে দেখা করেন পানিহাটির পুরপ্রধান। প্রায় ৩০ মিনিট কথা হয় তাঁদের। এর পর মলয়বাবুকে গাড়িতে তুলে দেন পুরমন্ত্রী। এর পর ফিরহাদ জানান, উনি আমার কাছে ইস্তফা দিয়েছেন। তবে আইন মেনে মহকুমাশাসকের কাছে ইস্তফা দিতে হবে।
সেই মতো বুধবার বারাকপুরের মহকুমা শাসকের কাছে মলয়বাবু ইস্তফা দেবেন বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু বেলা বাড়তেই বদলে যায় ছবি। রোজের মতো এদিন দুপুরেও পুরসভায় গিয়ে পুরপ্রধানের চেয়ারে বসেন মলয়বাবু। এর পর দুপুর ২টো নাগাদ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, আমি গতকাল পুরমন্ত্রীকে কয়েকটা প্রশ্ন করেছি। সেই প্রশ্নগুলোর উত্তরের অপেক্ষায় আছি। উত্তর পেলে ভালো। না পেলে দলনেত্রীর নির্দেশ তো মানতেই হবে।
আরও পড়ুন - ‘বাবা-মা বাংলাদেশি হলেও আমি ভারতীয়!’ দাবি তৃণমূলের ‘আগুনে’ যুবনেতার
তিনি বলেন, মাঠ খেলার জায়গা। রাজনীতির জায়গা না। তবে কেউ যদি মাঠে রাজনীতির খেলা খেলতে আসে তাহলে বড় খেলা হবে। কেউ নোংরা খেললে আমিও নোংরা খেলব।
তৃণমূলের একাংশের মতে মলয় রায়ের মাথায় বড় কারও হাত রয়েছে। জীবন সায়াহ্নে রাজনীতির লাভ ক্ষতির কথা না ভেবে আত্মসম্মান নিয়ে ভাবছেন তিনি। তাই দলনেত্রীর নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করেছেন পানিহাটির পুরপ্রধান।