স্বামীর নির্দেশ অমান্য করে মা হতে চেয়েছিলেন তিনি। সেই অপরাধে স্ত্রীর পেটে লাথি মেরে গর্ভস্থ সন্তানকে হত্যার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনা কালনার ধর্মডাঙা গ্রামের। অভিযুক্ত কামালউদ্দিনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন স্ত্রী চায়না বিবি।
বধূর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ১ বছর আগে হুগলির বলাগড়ের বাসিন্দা চায়নার সঙ্গে বিয়ে হয় কামাউদ্দিনের। বিয়ের পর স্বামী জানিয়ে দেন, তাঁর অনুমতি ছাড়া গর্ভধারণ করতে পারবেন না স্ত্রী। কিন্তু বিয়ের ৬ মাসের মাথায় গর্ভবতী হয়ে পড়েন চায়না। এর পর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা তাঁর ওপর লাগাতার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন বলে অভিযোগ। গর্ভপাত করাতে চাপ দিতে থাকেন তাঁরা। কিন্তু রাজি হননি চায়না।
গত ৮ মার্চ বিবাদ চলাকালীন চায়নার পেটে সজোরে লাথি মারেন কামালউদ্দিন। তার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন বধূ। শুরু হয় রক্তক্ষরণ। এর পর বধূকে কালনা সুপার স্প্যেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে পালিয়ে যান শ্বশুরবাড়ির লোকজন। স্বামীর লাথিতে গর্ভপাত হয়ে যায় চায়না বিবির।
রবিবার হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে সোজা থানায় যান নির্যাতিতা বধূ। এর পর স্বামীর বিরুদ্ধে গর্ভস্থ সন্তানকে হত্যা করার অভিযোগ আনেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা ফেরার।