বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠল এক প্রৌঢ়ার বিরুদ্ধে। এর পর হৃদরোগে মৃত্যু বলে দাবি করে দেহ সৎকারেরও আয়োজন হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বাদ সাধলেন মৃতের দাদা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত স্ত্রীকে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ক্ষীরপাই পুরসভার বামারিয়া এলাকার বাসিন্দা তপনবাবুর মৃত্যু হয় রবিবার গভীর রাতে। স্ত্রী রূপালি প্রতিবেশীদের জানান, গভীর রাতে শৌচাগারে যাওয়ার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন তপনবাবু। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সোমবার সকাল থেকে তপনবাবুর দেহ সৎকারের তোড়জোড় শুরু হয়। দাদার মৃত্যুর খবর পেয়ে সেখানে যান তপনবাবুর ভাই। তিনি দাদাকে মালা দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে দেখেন গলায় কালসিঁটে দাগ। এর পর খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। সঙ্গে জেরা শুরু করে নিহতের স্ত্রী ও মেয়েকে।
জেরায় দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া মেয়ে জানায়, রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ২ জন বাড়িতে এসেছিল। তাদের সঙ্গে কথা বলে মা। এর পর ১১টা নাগাদ বাবার দেহ পাওয়া যায়। গ্রামবাসীদের দাবি নিহতের স্ত্রী রূপালি ঘোষের সঙ্গে এলাকার এক ব্যবসায়ীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। তার জেরেই এই খুন। রূপালিদেবীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপেক্ষা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের।