আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালবাসার দিন। অর্থাৎ ভ্যালেন্টাইন্স ডে। এই দিনে প্রেমিক প্রেমিকা থেকে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে মধুর বাক্য থেকে শুরু করে গোলাপ নিবেদন করতে দেখা যায়। সঙ্গে উপহার তো আছেই। তবে এদিনই ঘটল অঘটন। দাবি মতো টাকা না পেয়ে স্ত্রীর মারে রক্তাক্ত হলেন স্বামী। এই মারাত্মক ঘটনার অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগণার নরেন্দ্রপুরে। স্ত্রী এবং শ্বশুরমশাইয়ের বিরুদ্ধে নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ করেছেন আক্রান্ত স্বামী।
ঠিক কী ঘটেছে নরেন্দ্রপুরে? স্থানীয় সূত্রে খবর, ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র আগে স্বামীর কাছে ১৫ হাজার টাকা চেয়েছিলেন স্ত্রী। সেটা না পাওয়ায় স্বামীকে কাঁচের গ্লাস দিয়ে মাথায় আঘাত করেন স্ত্রী। এই আঘাতের জেরে মাথা ফাটে স্বামীর। এমনকী কেড়ে নেওয়া হয়েছে তাঁর গাড়ির চাবিও। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান প্রতিবেশীরা। মাথায় ৬টি সেলাইও পড়েছে। তারপরই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সেখানে স্ত্রীর বিরুদ্ধে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করেন তিনি।
আর কী জানা যাচ্ছে? আট বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার গড়িয়া সবুজ সংঘের ওই ব্যক্তি। তাঁদের একটি সাত বছরের ছেলেও আছে। অভিযোগ, প্রায়ই স্বামীর কাছে টাকা চাইতেন স্ত্রী। আর সেই টাকা বাপের বাড়িতে দিতেন বলেও অভিযোগ। সোমবার ১৫ হাজার টাকা চান তিনি। কিন্তু স্ত্রীর এই দাবি মেনে নিতে রাজি হননি স্বামী। তখনই তাঁর গায়ে স্ত্রী হাত তোলেন। সোমবার রাতে ফের একবার টাকা নিয়ে অশান্তি হয়। তখনই স্বামীর মাথায় কাচের গ্লাস দিয়ে আঘাত করেন স্ত্রী। মারের চোটে মাথায় ফেটে যায় স্বামীর।
তারপর ঠিক কী ঘটল? এই ঘটনার পর শ্বশুরমশাইয়ের প্ররোচনাতেই এসব ঘটিয়েছেন স্ত্রী বলে দু’জনের বিরুদ্ধেই নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন স্বামী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আক্রান্ত স্বামী অজিত চৌধুরী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমার স্ত্রী মামনি মণ্ডল আমাকে গত আট বছর ধরে শারীরিক মানসিক অত্যাচার করছে। আমার একটা সাত বছরের ছেলে আছে। ওর সঙ্গেও ভাল ব্যবহার করে না। ওকেও মারধর করে। আমি যা রোজগার করি, তার বড় অংশের টাকাই ওর বাবা, ভাই, বোনদের দিয়ে দেয়। আমি টাকা দিতে না চাইলে আমাকে নানাভাবে নির্যাতন করে। সোমবারও বাবাকে টাকা দেবে বলে টাকা চায়। যা দিতে আমি অস্বীকার করি। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে মামনির বাবা অচিন্ত মণ্ডলও।’