হুইল চেয়ার জোটেনি। কার্যত বাধ্য় হয়েই অসুস্থ স্বামীকে পিঠে চাপিয়ে সরকারি হাসপাতালের এক জায়গা থেকে অন্য় জায়গায় নিয়ে যেতে বাধ্য় হলেন স্ত্রী। সেই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই একেবারে শোরগোল রাজ্য জুড়ে। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এই ছবিকে ঘিরে ইতিমধ্য়েই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এই ছবি দেখে শিউরে উঠছেন অনেকেই। কবে হাল ফিরবে সরকারি হাসপাতালের? সেই প্রশ্নও উঠছে।
নানা দিক থেকে ইদানিং রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কিছুটা হলেও উন্নয়ন হয়েছে। কিছুটা অংশ বেশ ঝা চকচকে। কিন্তু সেই হাসপাতালে কেন রোগী হুইল চেয়ার পেলেন না তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।
ঘটনাটি ঠিক কী হয়েছিল?
পরিতোষ বর্মন নামে এক ব্যক্তির পা ভেঙে গিয়েছিল। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন তিনি। তাঁর দাবি, অপেক্ষা করার পরেও হুইল চেয়ার জোটেনি। সেকারণে স্ত্রী তাঁকে কাঁধে চাপিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য় হন।
অত্যন্ত উদ্বেগের ঘটনা।
দিন পাঁচের আগে কাজ করতে গিয়ে পড়ে গিয়ে তাঁর পা ভেঙে গিয়েছিল তাঁর। রায়গঞ্জের রায়পুরের বাসিন্দা তিনি। বয়স ৫৫ বছর। তিনি স্ত্রীর সঙ্গে এসেছিলেন রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তাঁর দাবি হুইল চেয়ার খুঁজেও পাওয়া যায়নি। সেকারণে বাধ্য় হয়েই তিনি স্ত্রীর কাঁধে চেপে হাসপাতালের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে বাধ্য় হন।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বাম আমলে এই ছবি মাঝেমধ্যেই দেখা যেত। ইদানিং এই ছবি অনেকটাই কমেছে। তবে এই ছবি কার্যত রাজ্যের বেহাল অবস্থাকেই সামনে নিয়ে আসে।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, হুইল চেয়ারের কোনও অভাব নেই। একটু অপেক্ষা করলেই হুইল চেয়ার পাওয়া যেত।
এদিকে পরিতোষ বর্মনের দাবি, কয়েকদিন আগে পড়ে গিয়ে পা ভেঙে গিয়েছিল। হাসপাতালে এসেছিলাম। হুইল চেয়ার পাইনি। স্ত্রীর পিঠে চেপে গেলাম। এত বড় হাসপাতাল একটা হুইল চেয়ার নেই।
তাঁর স্ত্রী বলেন, টিকিট কাটার পরে হুইল চেয়ার পাইনি। কারোর কাছে সাহায্য চেয়েও পাইনি। টোটোকে ছেড়ে দিয়েছি। পরে স্বামীকে কাঁধে চাপিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে। আমরা গরীব মানুষ। কাউকে টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। পিঠে চাপিয়ে স্বামীকে নিয়ে যেতে হয়েছে। যার টাকা নেই তার কিছু নেই। উপায় নেই।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হুইল চেয়ারের কোনও অভাব নেই। একটু অপেক্ষা করলেই তিনি হুইল চেয়ার পেতেন।