এক নারীর স্বনির্ভর হওয়ার স্বপ্নে ফের বাধা হয়ে দাঁড়ালেন তাঁর স্বামী। নার্সের চাকরিতে যোগদান পছন্দ না হওয়ায় স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। এবারও ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের।
গত শনিবার কেতুগ্রামে নার্সের চাকরিতে যোগদানের সুযোগ পাওয়ায় স্ত্রী রেণু খাতুনের হাত কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল স্বামী শের মহম্মদের বিরুদ্ধে। এবার একই রকম ঘটনা ঘটল শক্তিগড়ে। ব্রততী মিশ্র নামে ওই যুবতীর অভিযোগ, তাঁর নার্সের চাকরি পছন্দ না হওয়ায় তাঁকে শ্বশুরবাড়ি থেকে মারধর করে বার করে দিয়েছেন স্বামী রাহুল মিশ্র।
নির্যাতিতার দাবি, ১ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। তার পর থেকে লাগাতার চলছিল শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার। এই মর্মে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তার পর রাহুল মিশ্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নার্সিংয়ের চাকরি নিয়ে দম্পতির মধ্যে কোনও বিবাদ ছিল তা জানানো হয়নি। বধূ নির্যাতনের অভিযোগ এসেছে। সেই অনুসারে ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। যদিও পরিবার ও প্রতিবেশীদের দাবি, গোলমালের সূত্রপাত বধূর চাকরি করা নিয়েও।
গত শনিবার বর্ধমানের কেতুগ্রামে স্ত্রী রেণু খাতুনের কবজি কেটে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্বামী শের মহম্মদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, স্ত্রী যাতে চাকরিতে যোগদান করতে না পারেন সেজন্য ২ ভাড়াটে দুষ্কৃতীকে নিয়ে রাতে ঘুমন্ত স্ত্রীর হাত কেটে নেয় সে। এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত অভিযুক্ত স্বামীসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে আক্রান্ত রেণু মণ্ডলকে অন্যত্র নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, অপরিবর্তিত থাকবে তার বেতনক্রম।