পরকীয়ায় জড়িত স্ত্রী। সন্দেহের বশে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। রবিবার হুগলির কোন্নগরের ঘটনা। অভিযুক্ত স্বামী পলাতক। পল্লবী দাস (২৪) নামে বধূর দেহ উদ্ধার করেছে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। জামাইয়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে পল্লবীর পরিবার।
রবিবার সকালে পল্লবীর দেহ ঘরে পড়ে থাকতে দেখেন প্রতিবেশীরা। এর পর খবর দেওয়া হয় কোন্নগর ফাঁড়িতে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, স্ত্রীর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্য পুরুষের সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করতেন স্বামী রিন্টু দাস। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে প্রায় প্রতিদিনই কলহ চলত। স্থানীয় একটি পোশাকের দোকানের কর্মী ছিলেন পল্লবী। রিন্টু পেশায় ছিলেন রংমিস্ত্রী। সন্দেহের বশে রিন্টু স্ত্রীকে মারধর করতেন বলেও জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।
রবিবার সকালে অনেক বেলা হলেও পল্লবী ঘর থেকে না বেরনোয় প্রতিবেশীরা গিয়ে দেখেন, দরজা খোলা। ভিতরে ঢুকে বধূর দেহ দেখতে পান তাঁরা।
রিন্টু যে বদমেজাজি ও সন্দেহ প্রবণ ছিলেন তা মেনে নিয়েছেন তাঁর মাও। তিনি জানিয়েছেন, বড় ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আমি ছোট ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ছেড়েছি। বউমা ভালো মেয়ে ছিল। ওকে শুধু শুধু মারধর করতো রিন্টু। ও যদি খুন করে থাকে আমরাও শাস্তি চাই।
প্রতিবেশীদের অনুমান, ভোররাতে স্ত্রীকে খুন করে বাড়ি ছেড়েছেন রিন্টু। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। বধূকে কী ভাবে হত্যা করা হয়েছে জানতে রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন তদন্তকারীরা।