মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব মেনে রাজ্য সরকারের দেওয়া চাকরি তিনি নেবেন। তবে রয়েছে শর্ত। মোটা মাইনের চাকরি হলে তবেই যোগ দেবেন তিনি। সোমবার বিকেলে বাঁকুড়ার কোতুলপুরের গোপীনাথপুরে বাড়িতে বসে এমনটাই জানালেন মৃত DYFI কর্মী মইদুল ইসলামের স্ত্রী। সঙ্গে তাঁর দাবি, সংসার সামলাতে রাজ্য সরকারের আর্থিক ভাবে তাঁদের পাশে থাকা উচিত।
রবিবার রাতে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় নবান্ন অভিযানে আহত DYFI কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্দা ওরফে ফরিদের। রাতেই সেখবর পৌঁছয় বাঁকুড়ার কতুলপুরে মইদুলের বাড়িতে। ৬ জনের পরিবারে মইদুল ছিলেন একমাত্র রোজগেরে সদস্য। টোটো চালিয়ে, মা, স্ত্রী, ২ মেয়ে ও ভাগ্নীর ভরণপোষণ করতেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর খবরে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে পরিবারটির।
সোমবার যখন কলকাতায় ময়নাতদন্তের জন্য মইদুলের দেহ নিয়ে দৌড়াদৌড়ি চলছে ততক্ষণে অনেকটা সামলে নিয়েছেন মইদুলের স্ত্রী। বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন থেকে মইদুলের পরিবারের একজনকে চাকরির প্রস্তাব দিয়েছেন শুনে মইদুলের স্ত্রী বলেন, ‘চাকরি দিলে নেব। তবে যেন বড় চাকরি দেয়। সংসারটা যেন ভালভাবে চলে। কম পয়সার চাকরি দিলে নেব না।’
পরিবারকে মইদুলের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর জানানো হয়নি বলে যে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী করেছেন তা এদিন খারিজ করে দেন নিহতের স্ত্রী। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে জানতাম। কিন্তু কোন হাসপাতালে তা জানতাম না।’ মইদুলের মা জানিয়েছেন, ‘জামাই বলেছে, কোনও চিকিৎসা হয়নি।’