বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > পুলিশের তদন্তে আস্থা নেই, সিবিআই তদন্তেই অনড় ঝালদার নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী

পুলিশের তদন্তে আস্থা নেই, সিবিআই তদন্তেই অনড় ঝালদার নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী

নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু।

এই খুনের ঘটনায় কিছুদিন আগেই ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন তপনের পরিবার।

ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনে জোরকদমে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তপন কান্দুর দাদা নরেন কান্দুকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। তার ছেলে দীপক কান্দুকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে, এই খুনের ঘটনায় কিছুদিন আগেই ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন তপনের পরিবার। তার পরেও কেন তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

আগেই ঝালদা থানার বেশ কয়েকজন অফিসারকে ক্লোজ করা হয়েছিল। তবে পুলিশের এই তদন্তে একেবারে সন্তুষ্ট নন নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। তিনি চাইছেন, এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত করা হোক। ইতিমধ্যেই এই দাবিতে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, তার স্বামীর খুনের ঘটনায় অনেক বড় বড় মাথা জড়িত রয়েছে। তদন্ত করলেই তা বেরিয়ে আসবে। আইসি সঞ্জীব ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি তপন কান্দুকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। সম্প্রতি আইসির কথোপকথনের একটি অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়। এর পরেই তাঁকে ঝালদার আইসি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় ঝালদা পুরসভা ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা। মোটর বাইকে করে এসে তপন কান্দুকে গুলি করে তারা চম্পট দেয়। এর পরে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে রাঁচিতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু, তার আগেই কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়। তপনের ভাইপো দীপক কান্দু ওই ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু, তিনি হেরে যান। এরপর এই ঘটনার খুনের অভিযোগ ওঠে দীপকের বিরুদ্ধে। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বন্ধ করুন