করোনা সংক্রমণ রুখতে অনেকেই এখন ঘরবন্দি। খাঁ খাঁ করছে চারদিক। গাড়ি চলাচলও কমেছে রাস্তায়। ভর দুপুরবেলা সেই ব্যস্ততা আর নেই। লোকালয় এলাকাতেও চেপে বসেছে নির্জনতা। সেই সুযোগেই এবার পুরুলিয়ার রাস্তায় দেখা মিলছে স্ট্রাইপড হায়না, ময়ূরের। সম্প্রতি তুলিন এলাকায় একটি লোকালয়ে ঢুকে পড়া একটি চিতল হরিণও উদ্ধার হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার স্কুল শিক্ষক মৃণ্ময় দাস আরও দুই অরণ্যপ্রেমী তাপস কর্মকার ও বিনয় রুংটার সঙ্গে শিকরা পাহাড়ের কাছে গিয়েছিলেন। সেখানেই জঙ্গলের কাছাকাছি একটি নির্জন জায়গায় তাঁরা একটি হায়না দেখতে পান। তারই ভিডিও তোলেন তাঁরা। সেই ছবিই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই খবরের সঙ্গে সংযুক্ত ছবিটি মৃন্ময় দাসের সৌজন্য়ে প্রাপ্ত। অরণ্যপ্রেমীদের দাবি, সামাজিক বনসৃজনের জেরে এলাকায় গাছপালা বেড়েছে। এর জেরে জীবজন্তুদের আশ্রয়স্থল তৈরি হচ্ছে। তবে তারা যাতে নিরাপদে থাকে সেটা দেখা দরকার। তবে একটা সময় পুরুলিয়ার জঙ্গলে হায়না ও নেকড়ে দেখা যেত। তবে কার্যত লকডাউনের জেরে এলাকায় গাড়ির আওয়াজ অনেকটাই কমেছে। লোকজনের যাতায়াতও কমেছে। এর জেরে লোকালয় এলাকায় বন্য জন্তুদের আনাগোনাও বাড়ছে। নানা ধরনের পাখি, সরিসৃপও দেখা যাচ্ছে। তবে সাধারণ মানুষ যাতে কোনওভাবেই এগুলির ক্ষতি না করে সেটা দেখা দরকার। এগুলিকে বাঁচিয়ে রাখার ব্যাপারে বনদফতরের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও এগিয়ে আসা দরকার।