রাজনীতি থেকে আপাতত বিদায় নিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা। বৃহস্পতিবার সে ব্যাপারেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। মন্ত্রিত্বর পাশাপাশি হাওড়া শহর তৃণমূলের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। খাতায়–কলমে ‘রাজনীতি থেকে আপাতত’ সরে গেলেও জল্পনা কমছে না লক্ষ্মীকে নিয়ে। তা হলে কি এবার শুভেন্দু অধিকারী, সুনীল মণ্ডলদের মতো বিজেপি–তে যোগ দেবেন লক্ষ্মীরতন?
বুধবারই পুরুলিয়ায় লক্ষ্মীরতনকে বিজেপি–তে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, ‘আমি তো লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে বিজেপিতে স্বাগত জানাচ্ছি। আপনার যে স্পিরিট আছে সেটা দেশের কাজে লাগান বিজেপি–র মাধ্যমে।’
তবে সমস্ত জল্পনা এদিন উড়িয়ে দিয়েছেন লক্ষ্মী। বিজেপি–তে যোগ দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে লক্ষ্মীরতন শুক্লা পরিষ্কার জানিয়ে দেন, ‘যখন রাজনীতিই ছেড়ে দিচ্ছি তখন কোথাও যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।’ বঙ্গ রাজনীতির অন্য দলগুলির প্রতিও এদিন শ্রদ্ধা জানিয়েছেন লক্ষ্মী। তিনি বলেন, ‘ক্রীড়াবিদদের কাছে বিরোধী বলে কিছু হয় না। যে যেই দলই করুক না কেন আমি প্রতিটি বরিষ্ঠ নেতাকে শ্রদ্ধা জানাই।’
তাঁর কথায়, ‘আমরা কেউ বাংলায় হিংসা, প্রতিহিংসা পছন্দ করি না। আমরা সবাই যেন নিজের আর অপরের খেয়াল রাখতে পারি। সেটাই হচ্ছে সমাজ। আর আমরা যদি সমাজকেই ভেঙে দিই তা হলে সেই সমাজে থেকে আর কী লাভ আছে?’ আমফানের উদাহরণ দিয়ে লক্ষ্মীরতন বলেন, ‘সে সময় যেভাবে রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ একে অপরের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে তেমনই যেন আগামীদিনেও হয়।’
তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে লক্ষ্মীরতন বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে ‘লক্ষ্মী ভাল ছেলে’ শোনাটাই আমার কাছে অনেক বড় প্রাপ্তি।’ পশ্চিমবঙ্গের প্রতি অগাধ ভালবাসার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলার জন্য যদি কেউ ২০ তলা থেকে বিনা প্যারাশুটে ঝাপ দিতে বলে তাতেও আমি রাজি। আমি এতটাই ভালবাসি বাংলাকে। যদি কোথাও স্বর্গ থাকে তা বাংলাতেই।’