পাখির চোখ মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার। সেই লক্ষ্যেই ২০২১এর বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে দিনরাত এক করে ঝাঁপিয়েছেন তিনি। আর পুজো ও দীপাবলি মিটতেই ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের কাউন্টডাউন শুরু করে দিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার মেদিনীপুরে একাধিক অনুষ্ঠানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘১৫ মাসের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন করব।’ প্রশ্ন উঠছে তবে কি এক বছরেরও বেশি আগে থেকে বিধানসভা নির্বাচনের ঘুঁটি সাজানো শুরু করে দিচ্ছে বিজেপি।
শনিবার বিকেলে মেদিনীপুরে একাধিক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন শুভেন্দুবাবু। সেখানেই বিধানসভা নির্বাচন প্রসঙ্গ বার বার উঠে আসে তাঁর মুখে। প্রত্যেকটি জায়গায় বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেন, ‘১৫ মাসের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন করব।’
আগামী বছর কালীপুজোর পর থেকে পুরোদমে শুরু হয়ে যাবে ২০২৬এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার। তার আগে মে - জুন মাস থেকেই ঘর গোছানো শুরু করে দেবে রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু দীপাবলি মিটতেই এবার যেভাবে কাউন্টডাউন শুরু করে দিলেন শুভেন্দু তাতে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর বিধানসভার উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী শুভজিৎ রায়ের সমর্থনে আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুরুতেই জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘কথা দিচ্ছি পনেরো মাস পরে মুখ্যমন্ত্রী কে প্রাক্তন বানিয়ে ছাড়বো।’ আরও কয়েকটি সভায় শুভেন্দুবাবুকে একই কথা বলতে শোনা যায়।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ২০২৬এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়ের ফরমুলা হল হিন্দু ভোটের একত্রীকরণ। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের থেকে এখনও প্রায় ৪ শতাংশ ভোটে পিছিয়ে রয়েছে বিজেপি। ৩০ শতাংশ মুসলিমের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে সেই ঘাটতি পূরণ করতে বিজেপির ভরসা হিন্দুরাই। তাছাড়া সম্প্রতি হরিয়ানায় বিজেপি এই মন্ত্রে সাফল্য পেয়েছে।