গভীর রাতে নৃশংস খুন হাওড়ার ডোমজুড়ে। বেসরকারি সংস্থার সুপারভাইজারকে ভাড়াবাড়ির সামনে গলা কেটে খুন করল আততায়ীরা। মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ ডোমজুড়ের নিউ কলোরা এলাকার ঘটনা। নিহতের নাম কুলেন্দ্র নাথ (৪৫)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন হাওড়া সিটি পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা। দেহ উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করেছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন - আরজি করকাণ্ডে ছেলেকে জড়িয়ে বদনাম করার চেষ্টা করছে দলেরই একাংশ: সৌমেন মহাপাত্র
পড়তে থাকুন - ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পদে বসতে পারবেন না সন্দীপ, স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের
৪ বছর ধরে সাঁকরাইলের ধূলাগড়ে জাতীয় সড়ক সংলগ্ন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের একটি কারখানায় সুপারভাইজারের চাকরি করতেন কুলেন্দ্র। অসমের বাসিন্দা এই ব্যক্তি স্ত্রীকে নিয়ে ডোমজুড়ের নিউ কলোরা এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। মঙ্গলবার রাতে কারখানায় ডিউটি সেরে যখন বাড়ি ফিরছিলেন সেই সময় ভাড়া বাড়ির সামনে আততায়ীর হাতে খুন হন তিনি। অন্ধকারে আততায়ী ধারালো অস্ত্র হাতে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ভাড়াবাড়ির সামনেই রাস্তার উপর রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন। তার শরীরে একাধিক ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ডোমজুড় ও সাঁকরাইল থানার পুলিশ। হাওড়া সিটি পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা তদন্তে ছুটে আসেন। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। কী কারনে এই খুনের ঘটনা তা স্পষ্ট নয়। পুলিশ একটি খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনার পিছনে কারো কোন ব্যক্তিগত শত্রুতা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন - আরজি কর-কাণ্ডে পুলিশি তদন্তে অনাস্থা, CBI তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, কুলেন্দ্রবাবু নিঃসন্তান ছিলেন। শিশুদের খুব ভালোবাসতেন তিনি। তাঁর সঙ্গে কারও কোনও বিবাদ ছিল বলেও জানা নেই। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, রাত ১১টা নাগাদ হঠাৎ বিকট আওয়াজ শুনতে পাই। গিয়ে দেখি এক ব্যক্তি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। প্রথমে চিনতে পারিনি। পরে বুঝতে পারি উনি আমাদেরই প্রতিবেশী। বসে বসে কয়েকটা কথা বলার চেষ্টা করেন। তার পর রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। গোটা শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে।