বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে মহিলাকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টা করা হল বলে অভিযোগ। ঘটনা ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে মহেশতলায়। শনিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার রামপুরে। সকালে বাড়ি থেকে কাজের জন্য বেরিয়েছিলেন মহিলা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি কয়লার দোকানে রক্তাক্ত ও সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ওই মহিলাকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
তাঁদের অভিযোগ, ওই মহিলাকে প্রথমে ধর্ষণ করা হয়েছে। এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য খুনের চেষ্টাও করা হয়। খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় মহেশতলা থানার পুলিশ। তারপর ঘটনাস্থল থেকে বছর চল্লিশের ওই নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভরতি করা হয়। সেখানেই আপাতত চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। ঘটনার তদন্তে নেমেছে মহেশতলা থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতো এদিনও ভোরে দুধ আনার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ওই মহিলা। কিছুক্ষণ পরে বাড়ির অদূরে এক কয়লার দোকান থেকে সংজ্ঞাহীন রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। এই ঘটনা ঘিরে এ দিন তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় রমরমিয়ে চলছে মদ গাঁজা, জুয়া, সাট্টার ঠেক। বহিরাগত লরিচালক-খালাসিরা এলাকায় যাতায়াত একপ্রকার দুর্বিষহ করে তুলেছে বাসিন্দাদের। স্থানীয়দের দাবি, এই সমস্ত বেআইনি ব্যবসা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। ঘটনায় অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে সরব হন তাঁরা।