বলাগড়ে ওঝা খুনে তদন্তে নেমে পুলিশের কাছে উঠে এল নতুন তথ্য। বেরিয়ে এল খুনের পিছনে থাকা কারণ। এই ঘটনায় ওঝার সাগরেদকে খুনের দায়ে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার খুনের পিছনে থাকা মহিলাকেও গ্রেফতার করল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, নৈহাটির গড়িফার বাসিন্দা ওঝা সুরেন্দ্র চৌধুরীকে খুন করতে ওঝার সাগরেদ লাল্টুকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন ওই মহিলা। সেইমতো পরিকল্পনামাফিকই ওঝাকে খুন করেন লাল্টু। পুলিশের কাছে জেরায় ওই মহিলার সঙ্গে পরিচয়ের কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন লাল্টু। মহিলার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথাও স্বীকার করে নেন লাল্টু। এই সব তথ্য জানার পর পুলিশের অনুমান, ত্রিকোণ প্রেমের জন্যই খুন করা হয়েছে ওই ওঝাকে।
কিন্তু তদন্তকারীদের কাছে প্রশ্ন ছিল, কেন মহিলা ওঝাকে খুন করার জন্য এত টাকা দিয়েছিলেন? এই প্রশ্নেরও কিনারা করতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তাঁরা জানতে পারেন, ছেলের চিকিৎসা করাতেই ওঝার কাছে গিয়েছিলেন মহিলা। কল্যাণীর মাঝের চরের জদুবাটিতে মহিলার সঙ্গে ওঝার আলাপ হয়। ক্রমেই তাঁদের দু'জনের মধ্যে সম্পর্ক শারীরিক সম্পর্কে গড়ে ওঠে। এতকিছুর পরও ছেলে সুস্থ হয়ে না হওয়ায় সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন ওই মহিলা। কিন্তু সুরেন্দ্র তা রাজি হচ্ছিলেন না। মহিলাকে তাঁর সঙ্গে সহবাসে বাধ্য করছিলেন। উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর বলাগড়ের ডুমুরদহ ফুলপুকুর এলাকা থেকে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জানা যায়, ওই দেহটি আসলে এক ওঝার। এরপরে ওঝার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ প্রথমে লাল্টুর কথা জানতে পারে। লাল্টুকে জেরা করতেই খুনের কথা স্বীকার করে সে।