একেবারে জীর্ণ চেহারা। উসকো-খুসকো চুল। গায়ে অপরিচ্ছন্ন পোশাক। এমনই অবস্থায় ডানলপ মোড়ের ফুটপাতে দিন কাটাচ্ছেন বৃদ্ধা। স্থানীয়দের দাবি, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আত্মীয় তিনি। দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করতেন। কিন্তু বছরখানেক ধরে ডানলপ মোড়েই থাকছেন। ফুটপাতেই কাটছে রাত।
বৃদ্ধার দাবি, খড়দহের একটি বালিকা বিদ্যালয়ের জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন। ৩৪ বছর সেই স্কুলেই শিক্ষকতা করতেন। অনেক স্কুলে প্রধান শিক্ষিকা হওয়ার সুয়োগ পেয়েছিলেন। কিন্তু খড়দহের স্কুল ছেড়ে যাননি। তারইমধ্যে ভাইরোলজিতে ডক্টরেট করেছেন বলে দাবি বৃদ্ধার।
যদিও সেই খড়দহের বাসিন্দা কীভাবে ডানলপ মোড়ে এলেন? সেই প্রশ্নের উত্তর না মিললেও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, একটা সময় বৃদ্ধা নাকি বরাহনগরে থাকতেন। তারপর শিয়ালদহ স্টেশন সংলগ্ন ফুটপাথে কয়েক বছর কাটিয়েছেন। এখন তাঁর ঠিকানা ডানলপ মোড়ের ফুটপাত। সেখানেই কোনওক্রমে দিন গুজরান করেন। ট্র্যাফিক পুলিশ থেকে স্থানীয় দোকানদার - সকলেই চিনে গিয়েছেন তাঁকে। অনেকে সাহায্যের হাতও বাড়িয়ে দিতে চেয়েছেন। কেউ কেউ বাড়ি ফিরিয়ে দিতেও চেয়েছেন। কিন্তু প্রতিবারই সেই সাহায্য নিতে অস্বীকার করেছেন। বরং নিজের টাকায় খাবার, চা কিনেই খান। বৃদ্ধার দাবি, তিনি মোটেও ভিক্ষা করেন না। নিজের টাকায় খরচ চালিয়ে নেন।
খড়দহের যে স্কুলে বৃদ্ধা শিক্ষকতা করতেন, সেই স্কুলের এক বর্তমান শিক্ষিকা জানান, তাঁকে অনেক প্রাক্তন ছাত্রী ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তিনি আসেননি। অবসরের পর পেনশন পাওয়ার জন্য যে কাগজপত্র জমা দিতে হয়, তা জমা দেননি। ফলে বৃদ্ধা পেনশনও পান না বলে দাবি ওই শিক্ষিকার।