আল্ট্রা সনোগ্রাফি করিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বাসে সন্তান প্রসব। শনিবার ঘটনাটি ঘটে কোচবিহারের হলদিবাড়িতে। দ্রুত বাস নিয়ে হলদিবাড়ি হাসপাতালে চলে আসেন চালক। এর পর নাড়ি কেটে মা ও ছেলেকে আলাদা করেন চিকিৎসক। দুজনেই ভাল আছেন। ছেলের নাম রেখেছেন ‘রানার’।
জানা গিয়েছে, এদিন কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ মহকুমার হলদিবাড়ির বেলতলার বাসিন্দা আসন্নপ্রসবা জরিনা বিবি (২৫) আল্ট্রা সনোগ্রাফি করাতে গিয়েছিলেন জলপাইগুড়ি শহরে। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী। পরীক্ষা করিয়ে জলপাইগুড়ির কদমতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে সরকারি বাসে ওঠেন তিনি। ফেরার পথে তাঁর প্রসব যন্ত্রণা ওঠে। প্রবল যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকেন তিনি।
প্রসূতির চিৎকার শুনে বাস থামিয়ে দেন চালক। এর পর বাসের মহিলা যাত্রীরা মহিলার প্রসব করান। জন্ম হয় একটি পুত্রসন্তানের। কিন্তু নাড়ি কেটে মা ও সন্তানকে আলাদা করতে পারেননি তাঁরা। এদিকে ততক্ষণে সংগঠনের মাধ্যমে ঘটনার কথা জেলার বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান অর্ঘ্য রায় প্রাধানকে জানান বাসচালক। খবর পেয়েই হলদিবাড়ি হাসপাতালের চিকিৎসকদের তৈরি থাকার নির্দেশ দেন অর্ঘ্যবাবু। নিজে ছোটেন হাসপাতালে।
কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রসূতিকে নিয়ে হলদিবাড়ি হাসপাতালে পৌঁছে যায় বাস। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসক মা ও সন্তানকে নাড়ি কেটে আলাদা করেন। এর পর তাঁদের হাসপাতালের ভিতরে নিয়ে গিয়ে শুরু হয় চিকিৎসা। জরিনা বিবি ছেলের নাম রেখেছেন ‘রানার’।
হলদিবাড়ির ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস কুমার দাস বলেন, ‘জরুরি অবস্থায় এক প্রসূতি আসছেন শুনেই চিকিৎস নার্সদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিই। হাসপাতালে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে তাদের নাড়ি কেটে আলাদা করা হয়। মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ।’
বিধায়ক অর্ঘ্য রায়প্রধান বলেন, ‘ড্রাইভারের তৎপরতায় আজ সব কিছু নির্বিঘ্নে মিটেছে। শিশুটি বড় হয়ে দেশ ও সমাজের কল্যাণ করুক।’