টানা ২১ দিন নিখোঁজ ছিলেন মধ্যমগ্রামের এক মহিলা। শত খোঁজ করেও মেলেনি মহিলাকে। তবে এবার ওই মহিলার মুণ্ডকাটা দেহ উদ্ধার হয়েছে। আর তা নিয়েই উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের মোল্লাপাড়া রিজিয়াভাটা এলাকায় রহস্য দানা বেঁধেছে। এই মুণ্ডকাটা দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। আজ, শনিবার সকালে উদ্ধার হয়েছে মহিলার দেহ। কে বা কারা তাঁকে খুন করল? খুনের আগে কি ধর্ষণ করা হয়েছিল? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছে মধ্যমগ্রামে? স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ, শনিবার রিজিয়াভাটা এলাকায় জঙ্গলের ভিতরে ওই মহিলার মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীরা। সেখানে অনেকেই রোজ কাঠ কাটতে যান। আর সেই কাজ করতে গিয়ে এমন দৃশ্য নজরে আসে স্থানীয় বাসিন্দাদের। তখনই তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেখেন ওই মহিলার মুণ্ড শরীর থেকে আলাদা করা হয়েছিল। দেহের থেকে কিছুটা দূরে ওই মহিলার মুণ্ড উদ্ধার হয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? মহিলার মুণ্ডকাটা দেহ দেখে সবাই চমকে ওঠে। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠাতে গিয়ে দেখেন ওই দেহে পচন ধরেছে। সুতরাং ওই মহিলকে কয়েকদিন আগেই খুন করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। ওই মহিলার সঙ্গে সম্প্রতি এক ব্যক্তির সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। এই খুনের পিছনে ওই ব্যক্তির হাত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সম্ভবত পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বলে পুলিশ মনে করছে। আর সেখান থেকে বেরিয়ে আসতেই এই খুন বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, খুন হওয়া মহিলার নাম তপতী হালদার (৪৫)। তিনি মধ্যমগ্রাম পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লাপাড়া রিজিয়াভাটা এলাকায় থাকতেন। আজ, শনিবার তপতীর মুণ্ডকাটা দেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে সেটা তাঁর বাড়ি থেকে সামান্য দূরে। তপতীর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে শনাক্ত করেছেন। তবে কারও সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠার কথা বলেননি। স্থানীয় এক বাসিন্দার সূত্রে তা জানা গিয়েছে। তপতী নিখোঁজ হওয়ার পর পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল। তপতীর পরিবারের সদস্যরা মনে করছেন, তপতীকে খুন করা হয়েছে।