করোনা সচেতনতায় নজির গড়লেন নদিয়ার এক মহিলা। তেহট্টের করোনাভাইরাস আক্রান্তদের সঙ্গে লালগোলা প্যাসেঞ্জারে একই কামরায় ছিলেন বলে জানিয়ে মহকুমা প্রশাসনের সঙ্গে দেখা করলেন তিনি। মহিলার এই উদ্যোগকে অনুসরণীয় বলে জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। তবে ওই কামরার অন্যান্য যাত্রীদের খোঁজ মেলেনি এখনো।
গত ২০ মার্চ শিয়ালদা থেকে সকাল ১০.২৮ মিনিটের লালগোলা প্যাসেঞ্জার (ট্রেন নম্বর 53183)-এর অসংরক্ষিত কামরায় তেহট্ট ফিরেছিল পরিবারটি। শুক্রবার ওই পরিবারের ৫ সদস্যের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। যার মধ্যে ৩টি শিশু। এছাড়া রয়েছেন ২ মহিলা। জানা গিয়েছে, ওই দিনই রাজধানী এক্সপ্রেসে দিল্লি থেকে ফিরেছিলেন তাঁরা।
তেহট্টের পরিবারটির দেহে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পরেই রাজধানী এক্সপ্রেসের সংরক্ষণ তালিকা দেখে তাদের সহযাত্রীদের চিহ্নিত করেছে রেল। কিন্তু শিয়ালদা স্টেশনে যারা তাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, বা লালগোলা প্যাসেঞ্জারের যে অংরক্ষিত কামরায় তাঁরা উঠেছিলেন সেখানে আর কে কে ছিলেন তা চিহ্নিত করা অসম্ভব। তাই ওই ট্রেনে যারা যাত্রা করেছিলেন তাদের স্থানীয় প্রশাসনকে তা জানাতে অনুরোধ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়েই রবিবার মহকুমা প্রশাসনের সঙ্গে দেখা করেন এক মহিলা। জানান, ওই ট্রেনে করোনা আক্রান্তদের সঙ্গে যাত্রা করেছিলেন তিনি।
দেশ জুড়ে বিদেশফেরত বহু ব্যক্তি যখন সেকথা গোপন করে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তখন মহিলার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। তাঁরে আপাতত হোম আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে অন্যদেরও মহিলার দেখা পথ অনুসরণ করতে বলেছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।