সন্তান জন্ম দিলেও তৈরি হয়নি স্তনদুগ্ধ। অবসাদে হাসপাতালের তিনতলার জানলা দিয়ে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন সদ্য মা। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ায়। হাসপাতালের তিনতলার জানলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন সদ্য মা হওয়া ওই মহিলা। ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার দেবেন মাহাত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। আহত মহিলাকে উদ্ধার করে ফের হাসপাতালে ভরতি করানো হয়েছে। এখন সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। গোটা ঘটনাটাই খতিয়ে দেখছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুলিয়ার বোড়ো থানার চিরুগড়া গ্রামের বাসিন্দা বছর পঁচিশের কাজলি সিং সন্তানসম্ভবা হয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু শিশুটি জন্মেই জন্ডিসে আক্রান্ত হয়। পাশাপাশি বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে গিয়ে ওই মহিলা বুঝতে পারেন, তাঁর শরীরে প্রয়োজনীয় স্তনদুগ্ধ তৈরি হয়নি। এতেই অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। কয়েকদিন ধরেই মনমরা হয়ে ছিলেন তিনি। আত্মীয়দের কাছে কান্নাকাটিও করেছিলেন।
এরপরেই রবিবার সবার অলক্ষ্যে হাসপাতালের তিনতলায় উঠে যান। সেখানে এসির জন্য তৈরি করা গরাদহীন জানালা দিয়ে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই মহিলা। ভারী কিছু পড়ার বিকট আওয়াজ শুনতে পেরে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন হাসপাতালের কর্মীরা। তবে নীচে জল কাদা ভরতি থাকায়, আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান কাজলি। তাঁকে তৎক্ষণাৎ উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কাজলি গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁর চিকিৎসা চলছে। তাঁর মাথার সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। তাঁর মেয়েকেও সিক নিউন্যাটাল কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকদের দাবি, তিনি অপুষ্টিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। তাঁর শরীর স্তনদুগ্ধের জন্য দায়ী ‘অক্সিটোসিন হরমোন’ পরিমাণমতো তৈরি করতে পারেনি। ফলে, শরীরে স্তনদুগ্ধের জোগান কমে গিয়েছিল।