এবার শিক্ষিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল তাঁর ঘর থেকেই। বসিরহাট মহকুমার হাসনাবাদ থানার অন্তর্গত টাকি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটেছে। গোটা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। কারণ এটি খুন নাকি আত্মহত্যা তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, তিনি রাজলক্ষ্মী গার্লস হাইস্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত শিক্ষিকার নাম বাবলি চট্টোপাধ্যায়(৪৩)। তোকিপুর রাজলক্ষ্মী হাইস্কুলের শিক্ষিকা। তাঁর স্বামী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় পেশায় বিমা–কর্মী। কিন্তু গত পাঁচ বছর ধরে তিনি স্বামীকে ছেড়ে আলাদা থাকতেন। তাঁর সঙ্গে থাকতেন মা দেবলা চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর সঙ্গে তার পারিবারিক অশান্তি ছিল। তাই স্বামী আলাদা থাকত। স্ত্রী বাপের বাড়িতে থাকত। তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, শিক্ষিকার আজ, শনিবার সকাল থেকে ঘর বন্ধ ছিল। কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। বৃদ্ধা মা ডাকাডাকি করলে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। তখন ঘরের দরজা ভেঙে দেখা যায়, শিক্ষিকার ঝুলন্ত দেহ। এই ঘটনা দেখে প্রতিবেশীরা হাসনাবাদ থানার পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কী কারণে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন শিক্ষিকা? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বিয়ের পর থেকে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে প্রায় অশান্তি লেগে থাকত। তাঁদের কোন সন্তান ছিল না। একদিকে মানসিক অবসাদ অন্যদিকে পারিবারিক অশান্তি। এই দুই কারণ তাঁকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য করেছে। তবে এটা খুন না আত্মহত্যা তদন্ত করছে পুলিশ।