উঠোনে শুকোতে দেওয়া ধান ছাগল খেয়ে নিচ্ছে। ছাগলের মালিককে এনিয়ে বারবার বলেও লাভ মিলছে না। এই আবহে বচসা দুই পরিবারের মধ্যে। রাগের মাথায় অমানবিক এক কাজ করে বসল ছাগলের মালিকের স্ত্রী। বচসা চলাকালীন প্রতিবেশীর ৬ মাসের সন্তানকে মাটিতে আছাড় দিয়ে ফেলা হল। ঘটনাটি ঘটেছে পাণ্ডুয়ার শিখিরা চাঁপতা পঞ্চায়েতের হরিদাসপুর গ্রামে। সেই গ্রামেই বাস নাসিম আলি ও বাপি সোরেনের। দুই জনই প্রতিবেশী। অভিযোগ নাসিমের ছাগল এসে বাপির উঠোনে ছড়ানো ধান খেয়ে যায়। এই বিষয়ে নাসিমকে বারবার বলা হলেও তাঁর কোনও হেলদোল ছিল না। এই নিয়েই বচসা। আর তার জেরে আছাড় দিয়ে ফেলা হয় বাপির ছয় মাসের শিশুকে।
অভিযোগ, বাপির বাড়ির গেট খোলা দেখে নাসিমের কয়েকটি ছাগল সেখানে ঢুকে ধান খেয়ে নেয়। এই ঘটনা ঘটার সময় সামনেই ছিলেন নাসিমের স্ত্রী মাফুজা খাতুন। তবে ছাগাল তাড়াতে কোনও আগ্রহ দেখাননি মাফুজা। এতে খুবই রেগে যায় বাপি সোরেন ও তাঁর স্ত্রী। দুই পরিবারের মধ্যে বচসা শুরু হয়। পরে তা হাতাহাতিতে পরিণত হয়। সেই সময় নাসিমের স্ত্রী বাপিকে লাঠি দিয়ে মারেন বলে অভিযোগ। মাফুজা বাপির স্ত্রী আরতিকেও মারেন। সেই সময় আরতির কোলে থাকা ৬ মাসের শিশুকেও মারে মাফুজা।
অভিযোগ, এরপর মাফুজা আরতির কোল থেকে তার সন্তাকে ছিনিয়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলে দেয় রাস্তায়। পরে জখম শিশুটিকে পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আছাড় খাওয়ার জেরে শিশুটির মাথায় আঘাত লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে পাল্টা দাবি করেছে নাসিম।