ফের রাতের অন্ধকারে নিশানায় যুবতী। আর যুবক নিজেকে পরিচয় দিয়েছিল সিভিক ভলেন্টিয়ার হিসাবে। তারপর যুবতীকে নেশা করিয়ে পাচার করার ছক কষেছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। বিধাননগরে দুই পুলিশ কর্মীর হাতে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছিলেন মহিলা। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এবার এমন অভিযোগ উঠল ধূপগুড়ি এলাকায়। ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এই ঘটনা সামনে আসতেই তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকায়।
ঠিক কী ঘটেছে রাতে? স্থানীয় সূত্রে খবর, একটু বেশি রাতে দোকান বন্ধ করে ফিরছিলেন দোকানিরা। তখন কুয়াশা পড়েছে। সবকিছু সেভাবে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। শীতের রাত। তাই রাস্তাঘাটও নির্জন। এই পরিস্থিতিতে এলাকায় নির্জন গলিতে দেখা যায়, এক যুবতী অচৈতন্য হয়ে বসে আছেন। পোশাক সামান্য অবিন্যস্ত। যুবতীকে ডাকলে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। একটু দূরেই দেখা যায় এক যুবককে। তাকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সে পালাবার চেষ্টা করে। তখন তাকে মারধর করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এই ঘটনা ঘটেছে ধূপগুড়ির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ডাঙা পাড়ায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবতীকে নেশা করানো হয়েছিল। যার জেরে তিনি উঠে দাঁড়াতে পারছিলেন না। এক গলির মুখে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। যা দেখতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় খবর দেন। যেটুকু বয়ান মিলেছে তাতে মনে করা হচ্ছে, যুবতীকে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তাই তাঁকে নেশা করানো হয়েছিল। ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ওই যুবক নিজেকে ময়নাগুড়ি থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার হিসাবে পরিচয় দেয়। যুবতীর বাড়ি তেলিপাড়ায়।
জানা গিয়েছে, এখন উত্তরের বিভিন্ন জেলায় নারীপাচারের চক্র সক্রিয় হয়েছে। পুলিশের কাছে বহু অভিযোগ জমাও পড়েছে। তার তদন্ত করছে পুলিশ। তার মধ্যেই নিজেকে সিভিক ভলেন্টিয়ার পরিচয় দিয়ে যুবতীকে কেন নেশা করানো হয়েছিল? উত্তর খুঁজছে পুলিশ। নারীপাচার নাকি ধর্ষণ—কোন কাজের জন্য এই যুবতীকে ব্যবহার করা হচ্ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনার পিছনে আর কে বা কারা রয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।