যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক মহিলার। তার জেরে যুবকের মাকে শুধু মারধরই করা হল না, হাঁটানো হল বিবস্ত্র করে। এমনই ঘটনা ঘটল বাংলার বুকে। মহিলার পরিবারের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠেছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের শ্যামসুন্দরপুরে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন যুবকের মা। ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। যদি এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে সাক্ষ্য নির্যাতিতার, ধর্ষককে সাজা শোনাল এপারের আদালত
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ওই মহিলার বিয়ে হয়েছিল অন্যত্র। তবে বিয়ের আগে থেকেই তার প্রেম ছিল এক যুবকের সঙ্গে। ওই যুবক একই গ্রামের বাসিন্দা। বিয়ের পরেও তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি শ্যামসুন্দরপুর গ্রামের প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান ওই মহিলা। বিষয়টি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায়। যুবকের পরিবারের সঙ্গে মহিলার পরিবারের মধ্যে অশান্তি তৈরি হয়। অভিযোগ শুক্রবার সকালে মহিলার পরিবারের সদস্যরা এবং লোকজন যুবকের পরিবারের উপর চড়াও হয়। সেই সময় যুবক বাড়িতে ছিলেন না। সেখানে ছিলেন শুধু তার মা। তখন তার মায়ের কাছে মেয়েকে ফিরিয়ে আনার দাবি করে মহিলার পরিবার। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক বাঁধে।
পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে যুবকের মা আতঙ্কে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন। ঘটনায় উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়। তখন ঘরের দরজা ভেঙে মহিলার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে ঢুকে পড়ে এবং যুবকের মাকে মারধর করে। অভিযোগ, তাঁকে মাথায় ও পায়ে আঘাত করা হয়। এমনকী দড়ি দিয়ে বেঁধে শ্বাসরোধ করারও চেষ্টা করা হয়। যুবকের মায়ের আরও অভিযোগ, কাঁটারির কোপে তাঁর বাঁ পায়ের একটি আঙুল কেটে দেওয়া হয়। তখন অভিযুক্তরা তাঁকে চুলের মুঠি ধরে এবং বিবস্ত্র করে রাস্তা দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে যায়।
এর পাশাপাশি যুবকের মুদির দোকানের মালপত্রও লুট করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। যুবকের মাকে উদ্ধার করে নন্দকুমারের খেজুরবেড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।