ছোট ভাইয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন গুয়াহাটির বাড়িতে ফিরছিলেন শান্তাদেবী পাটানি। কিন্তু, ট্রেন দুর্ঘটনা সব শেষ করে দিল। আর ফেরা হল না ঘরে। ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদের মধ্যে একজন হলেন শান্তিদেবী পাঠান। তিনি যে এভাবে মারা যাবেন তা পরিবারের কেউই ভাবতে পারেননি। মায়ের আকস্মিক মৃত্যুর খবর পেয়ে ভেঙে পড়েছেন দুই ছেলে বিজয় এবং রোহিত।
পরিবারের লোকেরা জানাচ্ছেন, কিছুদিন আগেই শান্তাদেবীর ছোট ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছিল। ছোট ভাইয়ের বাড়ি জয়পুর। শেষকৃত্য সেরে বিকানের এক্সপ্রেস করে গুয়াহাটির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও এক ভাই ধর্ম চ্যান জৈন। তবে দুজনেই আলাদা আলাদা কামরায় ছিলেন। স্লিপার কোচে ছিলেন শান্তাদেবী। অন্যদিকে, তার ভাই ধর্ম ছিলেন এসি কোচে। তিনি শান্তাদেবীর বাড়িতে দুর্ঘটনার খবর ফোন করে পৌঁছে দেন।
দুর্ঘটনার ঘটনার খবর পেয়েই সমস্ত কাজ ফেলে বাড়ি থেকে ময়নাগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন দুই ছেলে বিজয় এবং রোহিত। বিজয়ের কথায়, 'মামা ফোন করে আমাদের এই দুর্ঘটনার খবর দেয়। আমরা হাসপাতালে যোগাযোগ করেছি। ময়নাতদন্তের পর মায়ের দেহ আমাদের তুলে দেওয়া হবে।'
অন্যদিকে, শান্তা দেবীর আর এক ছেলে রোহিতের কথায়,'জয়পুর থেকে মা ফিরছিলেন। মামার কাছ থেকেই আমরা দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে এসেছি। ' মাড়োয়ারি যুব মঞ্চের সহযোগিতায় তারা শান্তাদেবীর দেহ খুঁজে পেয়েছেন। এরজন্য তারা মাড়োয়ারি যুবসমাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর আজ শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখার পর এই ঘটনার জন্য যান্ত্রিক ছিল বলেই তিনি দাবি করেছেন।