সামনেই পুরসভা নির্বাচন। তার প্রাক্কালেই সিপিআইএমের এক পঞ্চায়েত সদস্যকে অপহরণের অভিযোগ উঠল। এই অপহরণ করেছে মহিলা গ্যাং বলে অভিযোগ। তাও দুয়ারে এসে। অর্থাৎ, বাড়িতে এসে বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তাই দুয়ারে ‘মহিলা গ্যাং’–এর উপস্থিতিতে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির রাধাকান্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভদ্রপাড়া এলাকায়। এই নিয়ে সিপিআইএম–তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে উত্তেজনা চরমে।
ঠিক কী ঘটেছে এখানে? আজ, শনিবার আগ্নেয়াস্ত্র এবং বোমা দেখিয়ে রেণুকা নাইয়ারকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। রেণুকার ছেলের দাবি, ‘আজ সকালে তিন মহিলা বাড়িতে আসে। তারা মায়ের কাছে প্রথমে ওষুধ চায়। তারপরই ওরা মাকে বোমা–বন্দুক ঠেকায়। মায়ের গয়না লুঠ করে এবং মাকে অটোয় তুলে নিয়ে চলে যায়।’
স্থানীয় সূত্রে খবর, রেণুকা সিপিআইএমের পঞ্চায়েত সদস্য হলেও আশাকর্মী হিসাবে এলাকায় কাজ করতেন। কিন্তু কেন তাঁকে অপহরণ করা হল? তা বোঝা যাচ্ছে না। পুলিশে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে পথ অবরোধ করা হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাধাকান্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতটি সিপিআইএমের দখলে।
এদিকে সিপিআইএমের অভিযোগ, বেশ কিথুদিন আগে এই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান–সহ চার বামফ্রন্ট সদস্যকে অপহরণ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার আজ মহিলাদের গ্যাং দিয়ে রেণুকাকে বন্দুক ঠেকিয়ে অপহরণ করা হয়েছে। এভাবে পঞ্চায়েতের দখল নিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই বিষয়ে সিপিআইএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের বলেন, ‘জেলার শুধু এই পঞ্চায়েতটি সিপিআইএমের। কিন্তু তা দখল করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। আমাদের সদস্যকে অপহরণ করা হয়েছে৷ এবার বৃহত্তর আন্দোলন হবে রায়দিঘিতে।’ তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।