প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করছেন এক প্রসূতি। ভর্তির জন্য হাসপাতালের এক বিভাগ থেকে আরেক বিভাগে ছুটে বেড়াচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা। তারপরেও প্রসূতিকে ভর্তি নিলেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যার জেরে হাসপাতালের গেটের সামনেই সন্তানের জন্ম দিলেন প্রসূতি। নিয়মের জটিলতায় এমনই অমানবিক দৃশ্য দেখল বসিরহাট। প্রসূতিকে ভর্তি না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বসিরহাটের হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
প্রসূতি মহিলার নাম খুশবু দেবী। তিনি বিহারের বাসিন্দা। বসিরহাটের একটি ইট ভাটায় কাজ করেন তার স্বামী। সেই সূত্রে তিনি তার স্বামীর সঙ্গে বসিরহাটে থাকেন। পরিবারের দাবি, বিহারে বাড়ি হওয়ার কারণে রক্ত পরীক্ষা, ইউএসজি এবং পোলিও কার্ড এখানে করাতে পারেননি প্রসূতি। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, শনিবার হঠাৎই প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয় খুশবু দেবীর। এরপর তাকে গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয় বসিরহাটের গ্রামীণ হাসপাতালে। অভিযোগ, পরীক্ষার কোনও ধরনের কাগজপত্র না থাকায় তাকে ভর্তি নিতে অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তাদের আরও অভিযোগ, হাসপাতালের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় স্বাস্থ্য দফতরের প্রটোকল অনুযায়ী ভর্তির জন্য পোলিও কার্ড, আলট্রাসনোগ্রাফি, করোনা ভ্যাকসিন বা রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট থাকতে হবে। কিন্তু সেগুলি না থাকার কারণে ভর্তি নেওয়া সম্ভব নয়। এরপরে সেখান থেকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু, ততক্ষণে হাসপাতালের সামনেই পুত্র সন্তানের জন্ম দেন ওই প্রসূতি। সন্তান জন্মানোর পর অবশ্য ওই প্রসূতিকে ভর্তি নেয় হাসপাতাল। দু'জনেই সুস্থ রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।