পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে কংসাবতী নদী থেকে মহিলার দেহ উদ্ধারে খুনের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হল পুলিশ। তবে এখনো অভিযুক্তের নাগাল পাননি তদন্তকারীরা। পুলিশের দাবি, গয়না লুঠ করতে মহিলাকে খুন করেছে অজ্ঞাত পরিচয় ফেরিওয়ালা।
গত বুধবার সকালে দাসপুরে কলোরা গ্রামে কাঁসাই নদীতে মহিলার পাথর চাপা দেওয়া দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তে নেমে আধিকারিকরা জানতে পারেন নিহতের নাম ঊর্মিলা দাস (৫৮)। বাড়ি দাসপুর থানা এলাকার নবীন মানুয়া সীতাপুর গ্রামে। মঙ্গলবার বিকেলে অচেনা এক ফেরিওয়ালার সঙ্গে নাতনির জন্য পাত্র দেখতে বেরিয়েছিলেন তিনি। রাতে আর ফেরেননি। সকালে বাড়ি থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে করোলা গ্রামে তাঁর দেহ উদ্ধারের খবর জানতে পারেন পরিবারের সদস্যরা।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ঊর্মিলা দেবীর ২ মেয়ে ও ১ ছেলে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছেলে বউমাকে নিয়ে ভিনরাজ্যে প্রবাসী। স্বামী চিত্তরঞ্জন দাসের সঙ্গে সীতাপুর গ্রামের বাড়িতে থাকতেন তিনি। গয়না পরতে ভালোবাসতেন ঊর্মিলাদেবী। সব সময় তাঁর গায়ে থাকত প্রচুর গয়না। সম্প্রতি এক ফেরিওয়ালার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। নাতনির জন্য পাত্রের সন্ধান দেন তিনি। অজ্ঞাতপরিচয় সেই ফেরিওয়ালার সঙ্গে মঙ্গলবার বিকেলে নাতনির জন্য পাত্র দেখতে বেরিয়েছিলেন তিনি।
পুলিশের দাবি, গয়না লুঠ করতেই গলা কেটে প্রৌঢ়াকে খুন করেছে ফেরিওয়ালা। তার পর নদীর জলে ফেলে দিয়েছে দেহ। ফেরিওয়ালাকে চিহ্নিত করতে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। খুব দ্রুত তার নাগাল পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী গোয়েন্দারা।