দশমীর রাতে বাড়ির সামনে আতসবাজি পোড়ানো নিয়ে আপত্তি তোলেন বালুরঘাটের এক বাসিন্দা। প্রতিবাদ করায় তাঁর ওপর চড়াও স্থানীয় ক্লাবের সদস্যরা। বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন তাঁর আইনজীবী মেয়েও। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, দশমীর দিন রাতে বালুরঘাটের চকভবনী এলাকায় বাজি পোড়াচ্ছিলেন স্থানীয় ক্লাবের সদস্যরা। বাড়ির সামনে বাজি ফাটানোয় মহিলা আইনজীবী ও তাঁর বাবা। প্রথমে তাঁদের কথা কানেই দেননি ক্লাব সদস্যরা। কিছুক্ষণ পর ফের যখন বাজি পোড়ানো শুরু হয়, তখন বাড়ির বাইরে বেরিয়ে প্রতিবাদ করেন মহিলা আইনজীবীর বাবা। তাঁকে মারধর করা হয়। বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন মহিলা আইনজীবীও। আক্রান্তদের বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গোটা ঘটনায় ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, কালীপুজোর রাতে শব্দ দূষণ রুখতে আতসবাজি ফাটানোর ওপর প্রতি বছর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কলকাতা হাই কোর্ট। কিন্তু দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে এইরকম কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় না। তবে সম্প্রতি দুর্গাপুজোর সময়ে বাজি পোড়ানো দেখতে গিয়ে প্রাণ হারায় এক শিশু। উত্তর ২৪ পরগনায় বারাসতে এই ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, টিনের কৌটে রেখে চকলেট বোমা ফাটানো হচ্ছিল। সেইসময় আহত হয় ৫ বছরের ওই শিশু। অনেক চেষ্টা করেও তাকে বাঁচানো যায়নি।