সীমান্তে সোনা পাচারের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। প্রায়ই সোনা পাচারের অভিযোগে অনেককেই গ্রেফতার করে থাকে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। এবার অভিনব কায়দায় এক মহিলা সীমান্তে সোনা পাচারের চেষ্টা করল। যদিও তাতে অবশ্য লাভ হল না। অভিযোগ, ওই মহিলা যৌনাঙ্গের ভিতরে লুকিয়ে সোনা পাচারের চেষ্টা করে। তবে পরীক্ষা করতেই সোনা লুকিয়ে রাখার বিষয়ে জানতে পারেন বিএসএফের জওয়ানরা। মহিলার কাছ থেকে ৬টি সোনার বার উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানার অন্তর্গত হাঁড়িপুকুর সীমান্তবর্তী এলাকায়। ঘটনায় সোনা বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি মহিলাকে গ্রেফতার করেছেন বিএসএফ জওয়ানার।
আরও পড়ুন: ব্যাগ খুলতেই উদ্ধার ডিভিডির মতো সোনার চাকতি, পাচারের আগেই ধৃত পাচারকারী
জানা যাচ্ছে, ওই মহিলা সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় তার হাঁটার ভঙ্গি দেখে সন্দেহ হয় বিএসএফ জওয়ানদের। এরপর বিএসএফ জওয়ানরা ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা মহিলা শরীরে মেটাল ডিরেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করেন। তখনই ধাতব বস্তু মহিলার গোপনাঙ্গে থাকার সংকেত পান বিএসএফ জওয়ানরা। কিন্তু, মহিলা দাবি করে, তার কাছে কিছুই নেই।
এরপর আরও একটি মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। তাতেও ধাতব বস্তু থাকার সংকেত পাওয়া যায়। এরপরেও মহিলা দাবি করতে থাকে যে তার শরীরে কিছু নেই। এরপর বিএসএফ জওয়ানরা এক্স-রে স্ক্যান করানোর কথা বললে মহিলা ভয় পেয়ে যায় এবং স্বীকার করে নেয় যে যৌনাঙ্গের ভিতরে তিনটি সোনার বার লুকোনো রয়েছে। তখন সেই মহিলা নিজেই তিনটি সোনার বার বের করে বিএসএফের কাছে তুলে দেন। এরপর আবার মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে স্ক্যান করানো হয়। কিন্তু, তাতে দেখা যায় এখনও মহিলার শরীরে সোনা রয়েছে। তারপর আরও তিনটি সোনার বার মহিলার গোপনাঙ্গ থেকে উদ্ধার হয়। ঘটনায় ওই মহিলাকে হিলিতে শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের হাতে তুলে দিয়েছেন বিএসএফের জওয়ানরা।
শুল্ক দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়ার সোনার পরিমাণ প্রায় ৫১ লক্ষ ২১ হাজার টাকা। ওই মহিলাকে বালুরঘাট জেলা আদালতে পেশ করা হয়। সেখানে বিচারক তার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ৩ জুন আবার ওই মহিলাকে আদালতে পেশ করা হবে। মহিলা কোথা থেকে সোনা পেয়েছিল? কোথায় পাচারের চেষ্টা করছিল তা জানার চেষ্টা করছেন আধিকারিকরা।