ফের একবার মুখ খুলেই পুরনো ফর্মে ভরতপুরের স্বনামধন্য তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুঁ কবির। এবার পুলিশকে নিম গাছে বাঁধার হুমকি দিলেন তিনি। ভরতপুর ২ নম্বর ব্লকে একটি যোগদান সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন তিনি। পুলিশকে হুমকি দিয়ে বলেন, আমার মটকা গরম হয়ে গেলে থানায় ১ হাজার লোক বসাব।
আরও পড়ুন - 'আরজি করের নতুন মেশিনগুলো সব নিজের নার্সিংহোমে লাগিয়েছে'
পড়তে থাকুন - কেন সমর্থন করলেন ‘টুকলি করা’ বিল? শুভেন্দু বললেন, জনমতের চাপে…
শনিবার ভরতপুর ২ নম্বর ব্লকে ছিল তৃণমূলের যোগদান সভা। এদিনের সভায় ভরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯ জন সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেন। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হুমায়ুঁ বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসন আপনরা নিরপেক্ষভাবে প্রশাসন চালান। কোনও দল না দেখে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। না-হলে আমার মটকা গরম হলে থানায় এক হাজার লোককে বসতে বলব। যে পুলিশকর্মী ঠিকমতো কাজ করবেন না, তাঁকে নিম গাছে বেঁধে আমাকে খবর দিতে বলব। আমি এসে তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ডেকে বেঁধে রাখার কারণ জানাব। তারপর ছাড়ব।’ এর পর বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা আমার হুমকি নয়। আমার অনুরোধ। সুশাসন দিন। কেউ কিছু বলবে না।’
শুধু পুলিশ নয়, এদিন দলের অপর গোষ্ঠীকেও হুমকি দিতে ছাড়েননি হুমায়ুঁ। তৃণমূলের ভরতপুর ২ নম্বর ব্লক সভাপতি নজরুল ইসলামকেও হুমকি দেন তিনি।
রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ এর আগেও উঠেছে হুমায়ুঁ কবিরের বিরুদ্ধে। কখনও মসজিদে হামলাকারীদের ২ ঘণ্টার মধ্যে ভাগীরথিতে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তিনি। কখনও সরাসরি আক্রমণ করেছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। তবে কোনও বারই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করেনি তৃণমূল।
আরও পড়ুন - ভরা বাজারে এসে ছাত্রীকে প্রমাণ করতে হল শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে সে
হুমায়ুঁর বক্তব্য নিয়ে বিজেপির মুখ্য সচেতক শংকর ঘোষ বলেন, ‘শাসকদলের বিধায়কই বলছেন পুলিশ নিরপেক্ষ নয়। এর পর আর কী বলার থাকতে পারে? আর এই ভাবে আক্রমণ করার পরেও অভিযুক্ত বিধায়কের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। এতে স্পষ্ট, যে সাধারণ মানুষ আর বিরোধীদের জন্য পুলিশের লাঠির জোর বেড়ে যায়। ক্ষমতা থাকলে পুলিশ হুমায়ুঁ কবিরের বিরুদ্ধে FIR করে দেখাক।’