চলতি বছরই স্থায়ী ভবন পেতে চলেছে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ। বর্তমানে জলপাইগুড়ির স্টেশন ফিডার রোডে অস্থায়ী ভবনে সার্কিট বেঞ্চের কাজকর্ম চলছে।স্থায়ী ভবনটি তৈরি হচ্ছে জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া সদরব্লকের পাহাড়পুর গ্রামপঞ্চায়েতের অন্তর্গত পাহাড়পুর মোড় ও গোশালা মোড়ের মাঝে জাতীয় সড়কের ধারে। ভবন তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। রবিবার সার্কিট বেঞ্চের সেই স্থায়ী ভবনের কাজ পরিদর্শন করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তারপরেই তিনি জানান, এ বছরেই স্থায়ী ভবনে সার্কিট বেঞ্চের কাজ শুরু হবে।
আরও পড়ুন: বিচারপতি অমৃতা সিনহার নিরপেক্ষতা নিয়ে মামলা, হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট
দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের জন্য স্থায়ী ভবনের নির্মাণের ছাড়পত্র মিলেছিল। তারপরেই শুরু হয় নির্মাণ কাজ। এই ভবন নির্মাণের জন্য রাজ্য সরকার মোট ৪০.০৮ একর জমি দিয়েছিল হাইকোর্টকে। ভবন তৈরিতে বরাদ্দ করা হয়েছিল প্রায় ৩৭৭ কোটি টাকা। যদিও ২০১২ সালেই স্থায়ী ভবনের প্রথম শিলান্যাস হয়েছিল। তবে নানা জটিলতার কারণে বিভিন্ন সময়ে সেই কাজ আটকে ছিল।
হাইকোর্ট প্রশাসনের অনুমতি না নিয়েই সেই সময় ভবনের নকশা তৈরি করার জন্য সেইসময় টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে গিয়েছিল। পরে নতুন করে আবার নকশা তৈরি হয়। তখন হাইকোর্ট অনুমতিও দিয়েছিল। এরপর ২০১৮ সালে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হলেও পূর্ত দফতর তা বাতিল করে দিয়েছিল। তারপরে আরও একবার টেন্ডার বাতিল হয়ে যায়। পরে ২০১৯ সালে আবার টেন্ডার ডাকা হয়। অবশেষে ২০২১ সালে তাতে ছাড়পত্র মিলতেই ভবন তৈরির কাজের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়।
যে স্থায়ী ভবনটি তৈরি হচ্ছে সেটি পাঁচতলা। প্রধান বিচারপতি থেকে শুরু করে অন্যান্য বিচারপতিদের এজলাস এবং অফিস থাকবে এই স্থায়ী ভবনে। এছাড়াও স্থায়ী ভবন চত্বরে এই ১৫ জন বিচারপতিদের থাকার জন্য বাংলোর ব্যবস্থা থাকছে। এছাড়াও থাকছে কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা।
এদিন নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করার সময় বিচারপতি বসুর সঙ্গে ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের অন্য এক বিচারপতি শম্পা সরকারও। নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করার পর বিচারপতি বসু বলেন, ‘নির্মাণ কাজ খুব ভালো এগোচ্ছে। পিডবলুডি সহ অন্যান্য দফতর সব ধরনের সহযোগিতা করছে এবং কাজের মানও সঠিক হচ্ছে। কাজ প্রায় শেষের দিকে। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে অগস্টের মধ্যে শুরু করার। কিন্তু, তা কতটা সম্ভব হবে জানি না তবে আশা করছি এ বছরেই আমরা স্থায়ী ভবনে কাজ শুরু করব।’ অন্যদিকে ধুপগুড়িতে মহাকুমা আদালত তৈরি হবে বলেও এদিন তিনি জানান।