টাটার ন্যানো কারখানা গড়ে ওঠেনি। এদিকে সেই জমি ফের চাষযোগ্য করাও সম্ভব হয়নি। এই পরিস্থিতিতে সিঙ্গুরে শুরু হয়েছিল ভেড়ি খনন। তবে মঙ্গলবার ভূমি রাজস্ব দফতরের হস্তক্ষেপে সাময়িক ভাবে থমকে থাকে সেই ভেড়ি খননের কাজ। পরে অবশ্য ভেড়ি খননের কাজ ফের শুরু হয়।
সিঙ্গুর ব্লকের রাজস্ব আধিকারিক সাধনা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার প্রেক্ষিতে দাবি করেন, ভেড়ি তৈরির জন্য কোনও অনুমোদন নেওয়া হয়নি সিঙ্গুর ভূমি এবং ভূমি রাজস্ব দফতরের থেকে। তবে জমির মালিক বলেন, সেচ দফতরের অনুমতি নিয়ে ভেড়ি তৈরির কাজ হচ্ছে।
উল্লেখ্য, শনিবার থেকে সিঙুরের টাটা প্রকল্পের জমিতে শুরু হয়েছে ভেড়ি খননের কাজ। যাদের তিন বিঘার ওপরে জমি রয়েছে তাদের জমি কেটে বিনামূল্যে পুকুর খনন করে দেবে মৎস্য দফতর। তাদের ৩ বছর মাছের চারা, খাবার ও ওষুধও দেবে তারা। তবে সংশ্লিষ্ট দফতরের অনুমতি ছাড়াই কি শুরু হয় ভেড়ি খননের কাজ? এই প্রসঙ্গে অবশ্য ভেড়ি তৈরির কাজে হাত দেওয়া কৃষক বনমালী মাইতি বলেন, ‘ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিকের কাছে হয়ত কাগজপত্র পৌঁছয়নি। আমি ওই নথি হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়েছি।’
অপরদিকে সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ দুধকুমার ধাড়া বলেন, ‘ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিকদের সমস্ত কাগজপত্র দেখানো হয়েছে। ভেড়ি কাটার জন্য প্রয়োজনীয় সরকারি অনুমতিপত্রও রয়েছে। বিএলআরও দফতরের থেকে অনুমতিও নেওয়া আছে।’ জানা যায়, সাময়িক ভাবে বন্ধ থাকার পরে ফের শুরু হয় ভেড়ি খননের কাজ।