দুয়ারে সরকার শিবিরেই পাকা বাড়ির আবেদনে বিধায়কের পা জড়িয়ে ধরলেন দিনমজুর। বীরভূমের সিউড়ির এই ঘটনা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মত বিধায়কের। তবে তিনি ওই ব্যক্তিকে পাকা বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে সিউড়ি পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে দুয়ারে সরকার শিবিরে। এদিন ওই শিবিরের পরিদর্শন করতে দলবল নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী। শিবির ঘুরে দেখার সময় আচমকাই বিধায়ককে সামনে পেয়ে তাঁর পা জড়িয়ে ধরেন হরি মণ্ডল নামের এক ব্যক্তি।
ঘটনায় অপ্রস্তুতে পড়ে যান তিনি। ওই ব্যক্তি বিধায়কের পা জড়িয়ে ধরে বলতে থাকেন, ‘অনেকবার আবেদন করেও ঘর পাইনি। তাই আজকে আপনাকে বললাম। আমাকে পাকা ঘর করে দিন।’ উত্তরে বিকাশবাবু তাঁকে বলেন, ‘ নিশ্চয়ই ঘর হবে। কারও কোন অসুবিধা হলে আমাকে বলবেন।’ এরপরই বিধায়কের আশ্বাসে সন্তুষ্ট হন ওই ব্যক্তি।
জানা গিয়েছে, পেশায় দিনমজুর হরি মণ্ডল সিউড়ি পৌরসভা এলাকারই বাসিন্দা। তিনি অভিযোগ করেন বলেন, ‘ অনেকের তিন চারতলা বাড়ি থাকার সত্ত্বেও তাঁরা ঘর পাচ্ছেন। অথচ আমরা ত্রিপল খাটিয়ে ঝুপড়ি তৈরি করে থাকি। তাঁরা যদি পেতে পারেন, আমি কেন পাব না? তিনি আরও বলেন, ‘ আমি তাঁকে কোনও অভিযোগ করিনি। আমি শুধু দাদার পায়ে ধরে নিজের কথা বলেছি। কারণ কথা বলার সুযোগ পাচ্ছিলাম না। সে জন্যই তাঁর পায়ে পড়লাম।’
ওদিকে বিষয়টিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতই বলে মনে করছেন বিধায়ক। এপ্রসঙ্গে বিধায়ক বলেন, ‘এদিন আমরা ওই এলাকার দুয়ারে সরকার শিবিরের পরিদর্শন করতে গিয়েছিলাম। সেই সময় আচমকাই ওই ব্যক্তি আমার পা জড়িয়ে ধরেন। তিনি ঘর পাননি বলে জানিয়েছেন। আমি তাঁকে আশ্বস্ত করেছি। কিন্তু এই কথা বলার পরও তাঁর কথা শুনে আমার যা মনে হয়েছে যে, বাড়ির চাহিদা তাঁর আসল উদ্দেশ্য ছিল না। তাঁর লক্ষ্য ছিল ‘সিন ক্রিয়েট’ করা। যা বুঝলাম কোনও দলের হয়ে প্ররোচনামূলক কথা বলাই তাঁর উদ্দেশ্য ছিল। তবুও আমি তাঁকে আশ্বস্ত করেছি। কারণ, দুয়ারে সরকারের উদ্দেশ্যই হল তাই। সত্যি যদি তাঁর বাড়ির প্রয়োজন হয়, তাহলে তিনি নিশ্চয়ই তা পাবেন। এর জন্য ‘সিন ক্রিয়েট’ করার কোনও প্রয়োজন নেই।’