বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Jalpaiguri murder case: বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় হবু স্ত্রীকে খুন

Jalpaiguri murder case: বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় হবু স্ত্রীকে খুন

রায়গঞ্জ হত্যা মামলায় নয়া তথ্য। (প্রতীকী ছবি)

নাদিমা খাতুন নামে ওই যুবতীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল গত বৃহস্পতিবার। জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের সন্ন্যাসীকাটা অঞ্চলে রহস্যজনকভাবে তার মৃত্যু হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মউমিন নামে এক যুবকের সঙ্গে তার বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। তারপরেই নাদিমার মৃত্যু হয়।

বিয়ের আগে হবু স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চেয়েছিলেন হবু বর। কিন্তু তাতে রাজি হননি হবু স্ত্রী। সেই ক্ষোভেই নাদিমা খাতুন নামে ওই যুবতীকে খুন করা হয়েছিল। জলপাইগুড়ির রায়গঞ্জ হত্যা মামলার তদন্তে নেমে এমনই তথ্য জানতে পেরেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় হবু বর মউমিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা এই তথ্য জানতে পেরেছে। ধৃত নিজেই এ কথা স্বীকার করেছে। পাশাপাশি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর পুকুর থেকে মৃতের মোবাইল এবং ওড়না উদ্ধার করা হয়েছে।

নাদিমা খাতুন নামে ওই যুবতীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল গত বৃহস্পতিবার। জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের সন্ন্যাসীকাটা অঞ্চলে রহস্যজনকভাবে তাঁর মৃত্যু হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মউমিন নামে এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। তারপরেই নাদিমার মৃত্যু হয়। এলাকার একটি পুকুর থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথম থেকেই পুলিশের অনুমান ছিল এটি খুনের ঘটনা। তবে কী কারণে খুন তা প্রথমে বুঝে উঠতে পারেনি পুলিশ। তদন্ত নামে পুলিশ মউমিনকে গ্রেফতার করে। এরপর জেলায় ধৃত মউমিন খুনের কথা স্বীকার করে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রমাণ লোপাট করার জন্য নাদিমার ওড়না এবং মোবাইল ফোন পুকুরের জলে ফেলে দিয়েছিল মউমিন। যাতে মনে হয় জলে ডুবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায় নাদিমাকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। তারপরে তাঁকে পুকুরের জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত নেমে পুলিশ মউমিনের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে জানতে পারে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত হবু বউয়ের বাড়ির কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছিল সে। বিয়ের আগে নাদিমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে চেয়েছিল মউমিন। কিন্তু সেই প্রস্তাবে রাজি হননি নাদিমা। জানা গিয়েছে, ঘটনার রাতে নাদিমাকে ফোন করে দেখা করতে বলেছিল মউমিন। তখন নাদিমাকে আবারও শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয় মউমিন। তাতে রাজি না হওয়ায় রাগের মাথায় মউমিন নাদিমাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিকে, পুলিশ হেফাজতে রয়েছে ধৃত মউমিন। নাদিমার ওড়না এবং মোবাইল পাঠানো হয়েছে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য। সেগুলি হাতে পেলে আদালতে জমা দেবে পুলিশ।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন