এখানের এলাকার বাসিন্দারা জানান, গত বছর প্রায় ৩৫০ মিটার তোর্সা নদীর বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল। কিন্ত সেচ দফতর থেকে মেরামতের কাজ হয়নি। বাঁধ নির্মাণ হয়নি। শুক্রবার রাতে নতুন করে ৫০ মিটার বাঁধ নদী গর্ভে চলে গিয়েছে। আতঙ্কে রয়েছে এলাকবাসী।
দিনভর তিস্তা এবং জলঢাকা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় জারি ছিল হলুদ সঙ্কেত। তিস্তার ক্ষেত্রে তিস্তা ব্যারেজ থেকে বাংলাদেশের দিকে অসংরক্ষিত এলাকায় এবং জলঢাকা নদীর এনএইচ ৩১ থেকে মাথাভাঙা পর্যন্ত নদীর অসংরক্ষিত এলাকাতে ছিল হলুদ সতর্কতা। এবার তোর্সা নদীতে হলুদ সতর্কতা জারি হল। ভুটান পাহাড়ে অবিরাম বৃষ্টি ও এলাকায় বৃষ্টির ফলে ফুলেফেঁপে উঠেছে তোর্সা নদী।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, নাগাড়ে বৃষ্টির জন্য নদীর জল ঢুকে তুফানগঞ্জ মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় অনেক মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। তুফানগঞ্জ–১ ব্লকের রায়ডাক নদীর উল্লার খেয়াঘাটে পারাপারের একমাত্র বাঁশের সাঁকোটি ভেসে গিয়েছে। কামাত–ফুলবাড়িতে রায়ডাকের ভাঙন শুরু হয়েছে। ঘরবাড়ি নদীবক্ষে চলে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন বাসিন্দারা। আর জয়ন্তী নদীর জল ঢুকেছে যশোডাঙায়। এই পরিস্থিতিতে দলসিংপাড়া রণবাহাদুর বস্তি এলাকায় তোর্সা নদীর ৫০ মিটার বাঁধ ভেঙ্গে গেল। যা নিয়ে বড় আশঙ্কা তৈরি হল।
আর কী জানা যাচ্ছে? এখানের এলাকার বাসিন্দারা জানান, গত বছর প্রায় ৩৫০ মিটার তোর্সা নদীর বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল। কিন্ত সেচ দফতর থেকে মেরামতের কাজ হয়নি। বাঁধ নির্মাণ হয়নি। শুক্রবার রাতে নতুন করে ৫০ মিটার বাঁধ নদী গর্ভে চলে গিয়েছে। আতঙ্কে রয়েছে এলাকবাসী। পঞ্চায়েত সদস্য রীনা দর্জি জানান, বারংবার সেচ দফতরের কাছেই বাঁধ মেরামত জন্য আবেদন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে যাতে কেউ তোর্সা নদীর আশেপাশে না যায়।