পাহাড়ে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেই টানা বৃষ্টি। এর জেরে তিস্তার গজলডোবা ব্যারেজ থেকে ২৫৬৪ কিউমেক জল ছাড়া হয়েছে। ফলে উত্তরের বিভিন্ন জেলার নদীগুলিতে জল বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় নদী তিরবর্তী নীচু জায়গাগুলি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। তবে এসবের মধ্যেই তিস্তার দোমোহনী থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত এলাকায় হলুদ সংকেত জারি করা হয়েছে। মূলত নদীর জলতল বৃদ্ধির জেরেই হলুদ সংকেত জারি করেছে সেচদফতর।
এদিকে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, মৌসুমী অক্ষরেখা গোরক্ষপুর থেকে সরে হিমালয়ের পাদদেশ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। শুক্রবার থেকে এটি ক্রমশ দক্ষিণের দিকে সরছে। অন্যদিকে পশ্চিম মধ্য ও উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় নতুন করে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে শুক্রবারও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় দিনভরই আকাশের মুখ ছিল ভার। রবিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গ জুড়ে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এদিকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে এদিন বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হয়েছে। কলকাতাতেও সকাল থেকে মেঘলা আকাশ ছিল। তবে এর মধ্যে রোদেরও দেখা পাওয়া গিয়েছে মাঝেমধ্যে। ঝেঁপে বৃষ্টিও হয়েছে বিক্ষিপ্তভাবে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমানেও বজ্র বিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হয়েছে।