ফের ফেসবুকে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শোনা গেল বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে। সম্প্রতি এই বক্তব্যের প্রতিফলন পাওয়া গিয়েছে বলাগড়ের বিধায়কের ফেসবুক পোস্টে। এবার সংবাদমাধ্যমের একাংশের প্রতিও নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ওই তৃণমূল বিধায়ক।
বলাগড় বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে ভোটে জেতেন খুব গরিব পরিবার থেকে উঠে আসা মনোরঞ্জন ব্যাপারী। কিন্তু জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসার কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর করা ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত। কয়েকদিন আগে ফেসবুক পোস্টে তৃণমূল বিধায়ক লেখেন, ‘মনে হচ্ছে রাজনীতিতে এসে ভুল করেছি।’ জনপ্রতিনিধি হিসেবে সবার প্রত্যাশা পূরণ করাটাই যে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেই বক্তব্যই উঠে এসেছে তৃণমূল বিধায়কের কথায়। বিধায়কের এই বক্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে। এরপরই কিছুদিন ফেসবুক পোস্ট থেকে নিজেকে বিরত রেখেছিলেন বলাগড়ের এই বিধায়ক। কিছুদিন পরেই ফের ফেসবুকে সরব হয়ে ওঠেন বিধায়ক। তিনি জানান, ‘এক সময়ে আমি সতেরো পয়সার পাঁউরুটির জন্য হাহাকার করেছি। সেই আমি আজ অন্য জনের ভাত তো তুচ্ছ মদ, মাংসের জোগান দিতে পারছি বলে পুলকিত হচ্ছি।’
এরপরই সংবাদমাধ্যমকে কটাক্ষ করে তৃণমূলের ওই বিধায়ক লেখেন, ‘আমি কেন অমানবিক উচ্চারণ করতে পারিনি, আমি কেন খৈনি খাই, আমি কেন সুখ-শয্যায় না শুয়ে গামছা বিছিয়ে আমগাছের ছাওয়ায় শুয়ে পড়েছি, আমি কেন হোটেলে না খেয়ে মা ক্যান্টিনে ডিমভাত খাই, এই সব নিয়ে খবর করে আজকাল কিছু মানুষ বেশ তেলে ঝোলে থাকছে।’ এখানেই শেষ করেননি মনোরঞ্জন, সংবাদমাধ্যমকে আক্রমণ করে তিনি লেখেন, ‘আমি ভেবে পাই না, মানুষের এত সমস্যা সেগুলি কী এদের চোখে পড়ে না। পেট্রল, ডিজেলের দাম আকাশ ছুঁতে চলেছে, সমস্ত জিনিসের দাম বাড়ছে, গত আট মাসে ধরে রোদ শীত বৃষ্টি উপেক্ষা করে লাখ লাখ কৃষক দিল্লির রাস্তায় বসে আছে, সে নিয়ে সংবাদমাধ্যম নীরব। সময় নেই তাঁদের সেদিকে চোখ ফেরানোর। এরা ক্যামেরা নিয়ে ঘুরছে, আমি কখন কার কাছ থেকে খৈনি চেয়ে নেব, সেটা ছবি তোলার অপেক্ষায়। সাবাশ, চালিয়ে যাও। চালিয়ে যাও ভাই। এভাবে একদিন ক্রমমুক্তি হবে।'