রাজ্য–রাজনীতিতে এখন চর্চিত বিষয় হয়ে উঠেছে ‘ডিসেম্বর ডেডলাইন’। এমনকী তিনটি তারিখ ঘোষণা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার পাল্টা অবশ্য জানুয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এই পরিস্থিতিতে আগামী ২১ ডিসেম্বর কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর সভা রয়েছে। সেখানে বড় চমক হিসাবে হাজির থাকতে পারেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। গত শনিবার শান্তিকুঞ্জ থেকে ২০০ মিটার দূরত্বে দাঁড়িয়ে আওয়াজ তুলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তারই পাল্টা সভা করতে চলেছেন শুভেন্দু৷ আর সভাকে সফল করতে যোগীকে আনতে রাজ্য নেতৃত্ব চেষ্টা করছে।
ঠিক কী বলছে বিজেপি? যোগী আদিত্যনাথের আসার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক তাপস দলাই৷ তিনি বলেন, ‘আগামী ২১ ডিসেম্বর কাঁথি রেল মাঠে বড় জনসভা রয়েছে। বিজেপি কর্মী সমর্থকরা চাইছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে যেন আনা হয়৷ কর্মীদের আবেগকে সম্মান জানিয়ে যোগী আদিত্যনাথকে সভায় নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে।’ শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও ওই সভায় উপস্থিত থাকবেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, অভিনেতা তথা জনপ্রিয় বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়–সহ অন্যান্যরা৷
আর কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে মাঠে সভা করেছিলেন, সেখানেই পাল্টা সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা৷ তবে পুলিশ অনুমতি যদি না দেয়, তাই সময় থাকতেই রেল মাঠে সভা করার প্রস্তুতি শুরু করেছে বিজেপি। এমনকী অভিষেকের সভার চেয়ে ঢের গুণ বেশি লোক আনতে নির্দেশ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়া পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি এবং জঙ্গলমহল থেকে লোক নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।
ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস? এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর একটি টুইট করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি লিখেছেন, ‘গোটা বঙ্গ–বিজেপি অভিষেককে কাউন্টার করার জন্য অত্যন্ত ছোট। তাই শুভেন্দু অধিকারী এখন যোগী আদিত্যনাথকে কন্টাইয়ের সভায় নিয়ে আসতে চাইছে। যাতে নিজের মুখ বাঁচানো যায়।’ এছাড়া শুভেন্দু অধিকারীর তিনটি তারিখের পরিবর্তে কুণাল ঘোষ ২ জানুয়ারি একটি তারিখ ঘোষণা করেছেন। সেদিন ধামাকা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।