লকডাউন শুরুর আগে এক সঙ্গে ট্রেনে করে মুম্বই থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন তিন বন্ধু। বাড়ি ফিরে করোনা ধরা পড়ে ২ জনের। তৃতীয় জনেরও দেখা দেয় উপসর্গ। কিন্তু হাসপাতালে না গিয়ে ১৫ দিন বাড়িতেই বসে থাকার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার খবর পেয়ে যুবককে উদ্ধার করে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে জেলা প্রশাসন।
পূর্ব মেদিনীপুরে ফের ছড়াল করোনা আতঙ্ক। এগরার পর এবার করোনা আতঙ্ক ছড়াল কাঁথিতে। অভিযোগ, কাঁথির মনসাতলার বাসিন্দা এক যুবকের করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসার পর জ্বর এলেও হাসপাতালে যাননি। তিনি। ১৫ দিন ছিলেন বাড়িতেই। বুধবার এক করোনা রোগীকে জেরা করে বিষয়টি জানতে পারেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার ওই যুবককে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে।
জেলার অতিরিক্ত CMOH সুব্রত রায় জানান, ‘লকডাউনের আগে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মুম্বই থেকে ট্রেনে বাড়ি ফিরেছিলেন ৩ জন। তাদের মধ্যে ২ ভাই ওই তাঁদের এক বন্ধু ছিলেন। প্রথমে করোনা ধরা পরে এক ভাইয়ের। তাঁর চিকিৎসা চলছে। তার পর আরেক ভাইয়ের দেহেও সংক্রমণের প্রমাণ মেলে। সেই যুবককে জেরা করে তাদের এই বন্ধুর কথা জানা যায়।’
তিনি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার কাঁথির মনসাতলার বাসিন্দা ওই যুবকের বাড়িতে গিয়ে পৌঁছন স্বাস্থ্যকর্মীরা। জানা যায় তাঁর দেহেও করোনার উপসর্গ রয়েছে। সব জেনেও গত ১৫ দিন ধরে বাড়িতে বসে ছিলেন ওই যুবক। হাসপাতালে আসেননি। স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁকে তুলে এনে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করেছেন। তাঁর লালারসের নমুনা নাইসেডে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেনটাইনা থাকতে বলেছেন চিকিৎসকরা।
বিশ্বজুড়ে যখন করোনা রুখতে উপসর্গ দেখা গেলেই হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলছে সরকার ও বেসরকরি সংগঠনগুলি, তখন এই যুবকের আচরণ সচেতনতায় যে বিশাল ঘাটতি এখনো রয়ে গিয়েছে তার প্রমাণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।