তিনি বিধায়ক। বাসিন্দারা বলেন, তিনি আগাগোড়া কালারফুল। তা সে গঙ্গাবক্ষে নৌকাতেই হোন, কিংবা ফেসবুক লাইভে। তিনি মদন মিত্র। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর ফেসবুক লাইফ মানে সোশ্যাল মিডিয়ায় হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। এই বুঝি কিছু একটা মিস হয়ে গেল। এর সঙ্গে একেবারে কমেন্টের বন্যা। নেটিজেনদের একেবারে নয়নের মণি। তৃণমূল সূত্রে খবর, সেই মদন মিত্রই শনিবারের বারবেলায় তৃণমূল নেত্রীর কাছে বকাঝকা খেয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। সেটাও আবার তাঁর ওই ফেসবুকে লাইভের জন্য। আর এনিয়ে কিছুটা হলেও কী অভিমান হয়েছে মদন মিত্রের? তবে শনিবার বকুনির পরেও সেই ফেসবুক লাইভেই এলেন তিনি।
সেখানে এসে তিনি বলেন, ‘দিদির কাছে মদন মিত্রের ফেসবুকের থেকে ফেসভ্যালুর দামটা বেশি।’ হাসিমুখেই মদন জানিয়েছেন, ‘কাল থেকে সেই মদন মিত্রকে আর পাবেন না, যাকে কথায় কথায় পেতেন। দোলাও দোলাও দোলাও আমার হৃদয়। চন্দ্রিমাদি বলছিলেন, তোমার ফেসবুকটা এত মানুষ দেখেন, বরাবর একটা স্ট্র্যান্ডাড মেন্টেন করো। বিয়ে করেছি। বউ একবারও বাপের বাড়ি যায়নি। ঝান্ডা পাল্টাইনি, দল পাল্টাইনি, নেত্রী পাল্টাইনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘২২ মাস জেলে ছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক, কামারহাটির ছেলেরা না থাকলে বাঁচতাম না। তুমি দেখেছ ঘুঘুটি, তাই এত ভুরভুটি। রাজ চক্রবর্তী তোমায় রাজ অভিষেক করে দেব। ঋতব্রত তোমার পাশে থাকব। দুজনে গোপন ঘর করব। গোপন গোপন বই এনে পড়ব। লেনিন, স্ট্যালিন কী করতেন। যারা হয়েছেন প্রত্য়েকের বাড়িতে ফুল আর মিষ্টি দেব। সায়নী আমি আছি। আজ হিসাব মিলাতে গিয়ে দেখি ভুল সবই ভুল। এ খেলা শুধুই ফাঁকি।’ তবে এতসব কিছু পরে দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠছে, সবাই সব কিছু পেলেন, মদন মিত্র কী পেলেন?