তরুণীকে বেহুশ করে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল হবু স্বামী এবং দেওরের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় যৌন নির্যাতনের পর তাঁকে খুন করার চেষ্টা করল অভিযুক্তরা। নির্যাতিতা এবং অভিযুক্তদের বাড়ি মুর্শিদাবাদে। তবে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায়। এই ধরনের নৃশংস ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নরেন্দ্রপুরের নতুনহাট এলাকায় রাস্তার পাশে ওই তরুণীকে অচেতন এবং নগ্ন অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। সঙ্গে সঙ্গে তারা পুলিশকে বিষয়টি জানান। পরে পুলিশ এসে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই তরুণী। তাঁর শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় হবু স্বামী সাবির শেখ এবং দেওরের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন।
তরুণী জানান, বেশ কয়েক মাস আগে সাবিরের সঙ্গে তাঁর বিয়ে ঠিক হয়েছিল। অভিযোগ, বিয়ের আগে নির্যাতিতার নামে বিভিন্ন জায়গা থেকে লক্ষাধিক টাকার ঋণ নিয়েছিল সাবির। হবু স্ত্রীকে মেরে ফেললে সেই ঋণ আর শোধ করতে হবে না এই কথা ভেবে তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল সাবির। তার জন্য তাঁকে প্রথমে বাড়ি থেকে ডাকে সাবির। তারপর ঘুরতে যাওয়ার নাম করে ট্রেনে ওঠে। সেখানে খাবারের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে হবু স্ত্রীকে বেহুঁশ করে দেয় সাবির। পরে শিয়ালদায় ট্রেন ঢোকার পর নির্যাতিতার জ্ঞান ফিরলে আবার তাঁকে বেঁহুশ করে দেয় অভিযুক্তরা। নির্যাতিতার অভিযোগ, হবু স্বামী ও দেওর মিলে তাঁকে ধর্ষণ করে। এরপর অচেতন ও নগ্ন অবস্থায় নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার নতুনহাটে রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর সারা শরীরে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনার পর থেকে পলাতক দুই অভিযুক্ত। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।