বোলপুর ধর্ষণের ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই আবার বীরভূম জেলার কীর্ণাহার এলাকা থেকে গৃহবধূর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। বীরভূমের কীর্ণাহার থানার হরনাগুনপুর গ্রামের একটি মাঠ থেকে এক এই গৃহবধূর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। গৃহবধূকে ধর্ষণ করে খুন করা হযেছে বলে স্থানীয় মানুষজনের অনুমান। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছে বীরভূমে? স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ সোমবার সকালে মাঠে কাজ করতে গিয়েছিলেন কিছু কৃষক। তাঁরাই এলাকার গৃহবধূকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে খবর দেন। গলায় শাড়ির ফাঁস দেওয়া ছিল। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন থাকায় অনুমান করা হচ্ছে ধত্ষণ করে খুন করা হয়েছে গৃহবধূকে। এই গৃহবধূ বাড়িতে একাই থাকতেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। সেখান থেকে গৃহবধূর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম মঞ্জু বাগদি (৩৫)। ধর্ষণ করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। তবে এখনও তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। এই গৃহবধূ কী ভাবে মাঠে এলেন? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর নেপথ্যে কেউ আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, সম্পর্কের টানাপোড়েন ছিল গৃহবধু মঞ্জু বাগদির। স্বামী তাঁর সঙ্গে থাকতেন না। তাই অন্য কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কীর্ণাহারের বাসিন্দা মঞ্জু বাড়িতে একাই থাকতেন। কী ভাবে গৃহবধূর মৃত্যু হল? তা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে দুটি গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বীরভূম জেলায়। শান্তিনিকেতন এবং কাঁকড়াতলা এলাকায়। তার উপর ফের এক গৃহবধূর রহস্যমৃত্যু ঘিরে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য।