প্রেমের ফাঁদে ফেলে নাবালককে অপহরণের অভিযোগ উঠল। আর এই অপহরণ করেছে এক যুবতী। ২৫ বছর বয়সের ওই যুবতীকে কোতুলপুরের পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ওই যুবতীর বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার মোগলমারিতে। যদিও শ্বশুরবাড়িতে সে অন্য নামে পরিচিত। এই যুবতীর আবার দু’টি সন্তানও রয়েছে। সেসব ছেড়ে বর্ধমান, আরামবাগ–সহ নানা জায়গায় থাকছিল যুবতী। আর নানা নামে একাধিক পুরুষের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে টাকা নিয়ে নিচ্ছিল বলে অভিযোগ।
ঠিক কী ঘটেছে বাঁকুড়ায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, এবার নাবালকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে তাকে ফাঁদে ফেলে যুবতী। তারপর অপহরণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। এই যুবতীর অনেক আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু স্বামী এবং দুই সন্তানকে ছেড়ে সে বহুদিন ধরেই আলাদা ছিল। বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার পুলিশ কামারপুকুর থেকে ওই যুবতীকে গ্রেফতার করেছে।
তারপর ঠিক কী ঘটল? কোতুলপুরের তাজপুরের বাসিন্দা ১৬ বছরের এক নাবালককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওই যুবতী। ওই নাবালককে অপহরণের অভিযোগে যুবতীকে গ্রেফতার করা হয়। ওই যুবতী নাবালককে রাজস্থানে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিল। নাবালককে নিয়ে যুবতী দু’দিন বর্ধমানে লুকিয়ে থাকার পর খড়্গপুরের দিকে রওনা দিয়েছিল। তবে তার আগেই কামারপুকুর থেকে দু’জনকে ধরা হয়। দু’জনকেই বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মোগলমারিতে। ধৃত যুবতীর নাম প্রিয়া দাস। তিন বছর আগে স্বামী–সন্তানদের ফেলে একটি যুবকের সঙ্গে পালিয়ে যায় ওই যুবতী। পরে সেই যুবকের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হলে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তখন সে বাড়ি না ফিরে আরামবাগ, বর্ধমান–সহ বিভিন্ন জেলায় একাধিক পুরুষের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে। এবার ওই নাবালকের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতে পরিচয় হয় তার। একাধিক পুরুষের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করতে কখনও শিখা, কখনও যমুনা, কখনও রুপালি–সহ বিভিন্ন নামে মোবাইলে সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব পাতিয়ে তাদের প্রেমের জালে ফাঁসাত। তাজপুরের ওই নাবালক জয়রামবাটিতে একটি দোকানে কাজ করত। কয়েকমাস আগে সোশ্যাল মিডিয়াতেই তার সঙ্গে প্রিয়ার পরিচয় হয়। ছোটখাটে চেহারা হওয়ায় যুবতীর বয়স বোঝা যায় না। অল্প বয়স ভেবেই ওই নাবালক যুবতীর প্রেমের ফাঁদে পা দেয়। এমনকী দোকানে কাজ করে নাবালক যুবতীর নানা আবদার পর্যন্ত মেটায়। পরে তাকে নিয়ে বর্ধমানে চলে যায়। আর ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন তার পরিবারের সদস্যরা। অবশেষে গ্রেফতার যুবতী প্রেমিকা।