হাওড়ার আমতায় এক ছাত্রনেতা আনিস খানকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল। পুলিশের পোশাকে কয়েকজন ব্যক্তি বাড়িতে গিয়ে আনিসকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে। যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে পুলিশ। কোনও পুলিশ তার বাড়িতে যায়নি বলেই দাবি করেছে আমতা থানার পুলিশ। তাহলে কারা তাকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছে তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এই অবস্থায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূলের দিকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী ছিলেন আনিস। তিনি সারদা খাঁ পাড়ার বাসিন্দা প্রথমে তিনি এসএফআইয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি আইএসএফে যোগ দেন। একুশে বিধানসভা নির্বাচনের পরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। তার শিকার হয়েছিলেন আনিসও। প্রায় তিন মাস ধরে তিনি ঘরছাড়া ছিলেন। শুক্রবার তিনি বাড়ি ফেরেন। এই খবর পাওয়ার পরেই আনিসের বাড়িতে যায় পুলিশ।
আনিসের বাবার অভিযোগ, ‘রাত একটা নাগাদ চারজন পুলিশের উর্দি পরে দরজায় আওয়াজ করতে থাকেন। দরজা খুলতেই আমার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তারা আনিসের কথা জানতে চাই। তারা জানায় আনিসের নামে অভিযোগ রয়েছে।’ এরপর আনিসের বাবাকে তারা মারধোর করতে শুরু করে বলে অভিযোগ। আনিসের ভাইয়ের কথায়, একজন তার বাবাকে আটকে রাখে এবং বাকি তিনজন ছাদের উপরে চলে যায়। তারপর আনিসকে ছাদ থেকে ফেলে দেয় তারা। তাদের মধ্যে একজন বলে ‘স্যার পালিয়ে আসুন আমাদের কাজ হয়ে গেছে।’ এ ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে সিপিএম। পরিবারের অভিযোগ অনেকদিন ধরেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাকে প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছিল। ফলে এই খুনের তৃণমূল জড়িত থাকতে পারে।